Logo
Logo
×

লাইফস্টাইল

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা, কখন ঘুম থেকে ওঠা সবচেয়ে ভালো

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ এএম

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা, কখন ঘুম থেকে ওঠা সবচেয়ে ভালো

অনেকেই মনে করেন ভোর ৫টায় উঠলে জীবন গুছিয়ে আসে, কাজের গতি বাড়ে এবং মনও ভালো থাকে। আবার অনেকে বলেন, এত ভোরে ওঠা শরীরের স্বাভাবিক ঘুমের ছন্দ নষ্ট করে। তাহলে আসলে কোনটা ঠিক? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন— চলুন সহজ করে জেনে নেওয়া যাক।

ভারতীয় যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক ও হ্যাবিল্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ বোথরা বলছেন, সকালে ঠিক কখন উঠবেন, তা ঘড়ির সময়ের চেয়ে আপনার অভ্যাসের ওপর বেশি নির্ভর করে। প্রতিদিন যদি একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা হয়, তাহলে শরীর ধীরে ধীরে সেই সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তাই যারা আগে অনিয়মিত সময় ঘুম থেকে উঠতেন, তাদের কাছে ভোর ৫টায় ওঠা বেশি সহজ এবং শক্তিদায়ক মনে হতে পারে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের সময়টা প্রকৃতির ছন্দের সঙ্গে বেশি মানানসই। এ সময় বেশিরভাগ মানুষ হালকা ঘুমে থাকেন, তাই ওঠাও তুলনামূলক সহজ হয়। ভোরের বাতাস থাকে শান্ত ও ঠান্ডা, চারপাশে কোলাহল কম থাকে, যা শরীর ও মনের জন্য আরামদায়ক। বিপরীতে সকাল ৭টার পর থেকেই শব্দ, স্ক্রিন আর যানজট শুরু হয়, যা স্নায়ুতন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন মুম্বাইয়ের গ্লেনেগলস হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. স্বরূপ স্বরাজ পাল। তার মতে, সকাল ৫টা বা ৭টা— কখন উঠছেন, সেটাই আসল বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম পাচ্ছেন কি না। স্নায়ুতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতে হলে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম খুব প্রয়োজন।

ডা. স্বরূপ জানান, যারা ভোরে উঠে শান্ত পরিবেশে ব্যায়াম, ধ্যান বা নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন, তাদের জন্য সকাল ৫টা উপকারী হতে পারে। তবে যদি এর জন্য ঘুম কমে যায়, তাহলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে। কম ঘুমের কারণে ক্লান্তি, বিরক্তি, মনোযোগের অভাব এমনকি স্নায়ুতন্ত্রে চাপও তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের পর সকাল ৭টায় ওঠাই বেশি ভালো, যা স্মৃতিশক্তি, হরমোনের ভারসাম্য এবং শরীর পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

সবশেষে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ একটাই— কখন উঠছেন, তার চেয়ে বেশি জরুরি হলো নিয়মিত ও মানসম্মত ঘুম। এমন সময়সূচি তৈরি করুন, যাতে প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা শান্ত ঘুম নিশ্চিত হয়। তাহলেই শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার