সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা মারা গেলে কীভাবে টাকা পাবেন, জেনে নিন নিয়ম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
সঞ্চয়পত্র নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও নির্ভরতা যেমন বেশি, তেমনি ক্রেতার মৃত্যুর পর এর টাকা উত্তোলন পদ্ধতি নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে মৃত ক্রেতার বিনিয়োগ ও মুনাফা কার পাওনা এ নিয়েই বেশিরভাগ জিজ্ঞাসা উঠে আসে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্র ক্রেতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি (নমিনি) পুরো টাকা ও মুনাফা উত্তোলনের অধিকারী হবেন। নমিনি চাইলে প্রতি মাসের মুনাফাও তুলতে পারবেন।
কীভাবে নমিনি টাকা তুলবেন?
সঞ্চয়পত্র ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নমিনিকে একটি আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র। এগুলো হলো,
. স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশন থেকে পাওয়া মৃত্যুসনদ
. প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া মৃত্যুসনদ
. নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
. নমিনির দুই কপি ছবি
. নমিনির নাগরিকত্ব সনদের কপি
. নমিনির স্বাক্ষর সত্যায়নের কপি
. নমিনির ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেক পাতার কপি।
মৃত্যুর পর সঞ্চয়পত্র চালু রাখা যাবে কি?
নমিনি চাইলে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগটি চালু রাখতে পারবেন। মেয়াদ শেষে মূল টাকা উত্তোলন করে তিনি নিজ নামে নতুন সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
নতুন নমিনি যোগ করা যাবে?
ক্রেতার মৃত্যুতে নমিনি সঞ্চয়পত্রের মালিক হলেও নতুন নমিনি যোগ করতে পারবেন না। তবে সঞ্চয়পত্র ভেঙে নিজের নামে পুনরায় কিনলে নমিনি পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
ক্রেতা ও নমিনি উভয়ই মারা গেলে কী হবে?
. এ অবস্থায় আদালতের নির্দেশনাই চূড়ান্ত। আদালত নির্ধারিত বৈধ উত্তরাধিকারীরাই সঞ্চয়পত্রের মালিকানা পাবেন।
বর্তমানে কয় ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে?
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে—
.পরিবার সঞ্চয়পত্র
.পেনশনের সঞ্চয়পত্র
.পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
.তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র।
মুনাফার হার ১১.৭০% থেকে ১১.৯৮% পর্যন্ত হয়ে থাকে। মেয়াদপূর্তির আগে ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগে ভাঙা নিরুৎসাহিত করা হয়।
ব্যক্তিগতভাবে যেমন, তেমনি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। একক ও যৌথ উভয় নামে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সুবিধা রয়েছে।
কেন জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র?
নিরাপদ বিনিয়োগ, ভালো সুদহার এবং সরকারি নিশ্চয়তার কারণে মধ্যবিত্তের সবচেয়ে নিরাপদ সঞ্চয়মাধ্যম হিসেবে সঞ্চয়পত্র জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।