অধিকাংশ মানুষ কেন বাঁহাতে ঘড়ি পরেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
আমাদের চারপাশে প্রতিদিনই দেখা যায়—বন্ধু, সহকর্মী কিংবা পরিচিত অনেকেই বাঁহাতে ঘড়ি পরছেন। দোকানে ঘড়ি কিনতে গেলেও বিক্রেতা সাধারণত বাঁহাতে পরে দেখান। বিজ্ঞাপনেও মডেলদের হাতে ঘড়িটি থাকে বাম দিকে। প্রশ্ন হচ্ছে—এর কারণ কি শুধু অভ্যাস বা ফ্যাশন? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি কেবল রুচি বা স্টাইল নয়। মানুষের দৈনন্দিন কাজের সুবিধা, ঘড়ির নিরাপত্তা এবং পুরনো ঘড়ির যুগ থেকে আসা ঐতিহাসিক প্রভাব—সব মিলিয়েই বাঁহাতে ঘড়ি পরা একটি স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। আপনি বামহাতি বা ডানহাতি যাই হন না কেন, এর যুক্তিগুলো বেশ বাস্তবসম্মত।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক কেন অধিকাংশ মানুষ বাঁহাতে ঘড়ি পরেন—
১. কাজের সুবিধা—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ
বিশ্বের প্রায় ৯০% মানুষ ডানহাতি। লেখালেখি, টাইপ করা, মোবাইল ব্যবহার—অধিকাংশ কাজই তারা ডান হাতে করেন।
নিরবচ্ছিন্ন কাজ : ডানহাত ব্যস্ত থাকার সময় বাঁহাতে থাকা ঘড়ি দেখে সময় জানা সহজ হয়, কাজ থামাতে হয় না।
আরামদায়ক ব্যবহার : ডান হাতে ঘড়ি পরলে লেখার সময় টেবিলের সঙ্গে ঘর্ষণ হতে পারে, যা অস্বস্তিকর। তাই বাঁহাতে পরা বেশি সুবিধাজনক।
২. সুরক্ষা ও টেকসই ব্যবহার
ঘড়ি একটি সংবেদনশীল ও মূল্যবান জিনিস। তাই সাধারণত মানুষ ঘড়ি পরেন নন-ডমিন্যান্ট হাতে।
ধাক্কা লাগার ঝুঁকি কম : ডানহাত দিয়ে বেশি কাজ করতে হয়, ফলে আঘাত লাগার সম্ভাবনাও বেশি। বাঁহাতে ঘড়ি থাকলে এই ঝুঁকি কমে যায়।
দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকে : কম আঘাত পাওয়ায় ঘড়ির স্থায়িত্বও বাড়ে।
৩. ঐতিহাসিক প্রভাব
আজকের স্মার্টওয়াচ বা কোয়ার্টজ ঘড়িতে দম দেওয়ার প্রয়োজন না হলেও, অতীতে প্রায় সব ঘড়িই ছিল ম্যানুয়াল ওয়াইন্ডিং।
অপারেশন সহজ ছিল : ঘড়ির ‘ক্রাউন’ সাধারণত ডান পাশে থাকে। বাঁহাতে ঘড়ি পরলে ডানহাত দিয়ে সহজেই দম দেওয়া যেত। ফলে ডানহাতিদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে ওঠে এবং সময়ের সঙ্গে সেটাই নিয়ম হয়ে যায়।
৪. বামহাতিদের ক্ষেত্রে উল্টো নিয়ম
যেহেতু বামহাতিরা তাদের বাঁহাত বেশি কাজে ব্যবহার করেন, তাই তারা সাধারণত ঘড়ি পরেন ডান হাতে—একই কারণে: কাজ সহজ রাখা এবং ঘড়িকে সুরক্ষিত রাখা।