বিশ্বজুড়েই ডিম একটি সহজলভ্য ও জনপ্রিয় খাবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম হলো প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ একটি ‘সুপারফুড’। নিয়মিত ও পরিমাণমতো ডিম খেলে শরীর, মন, ত্বক ও চুল—সবকিছুর জন্যই এটি হতে পারে এক অনন্য প্রাকৃতিক পুষ্টির উৎস।

সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস এক মাস পর শরীরে কী ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক টানা এক মাস ডিম খেলে আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন আসবে-

পেশি ও শক্তি বৃদ্ধি

ডিমে থাকা নয়টি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড পেশি গঠনে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের পেশি মজবুত হয় এবং ব্যায়ামের পর শরীর দ্রুত শক্তি ফিরে পায়। সকালে দুইটি সেদ্ধ ডিম সারাদিন কর্মশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।

হৃদ্‌স্বাস্থ্য উন্নত করে

একসময় ডিমের কোলেস্টেরল নিয়ে শঙ্কা থাকলেও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ডিমের ভালো কোলেস্টেরল হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ওমেগা-৩ ও কোলিন প্রদাহ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডিমে প্রচুর কোলিন থাকে যা স্মৃতি, মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি লুটেইন নামক উপাদান চোখকে নীল আলো ও বয়সজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডিম খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

ডিমের প্রোটিন দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে, ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কারণ এতে সারাদিন তুলনামূলকভাবে কম ক্যালরি গ্রহণ হয়।

ত্বক ও চুলের যত্নে

ডিমে থাকা বায়োটিন, ভিটামিন ডি ও অ্যামাইনো অ্যাসিড ত্বক, চুল ও নখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও টানটান। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

সূত্র- এনডিটিভি