Logo
Logo
×

লাইফস্টাইল

হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ভয়াবহ রোগের ইঙ্গিত নয় তো?

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ পিএম

হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ভয়াবহ রোগের ইঙ্গিত নয় তো?

হঠাৎ হৃদস্পন্দন দ্রুত বেড়ে গেলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এটি কি শুধুই মানসিক চাপের কারণে হওয়া প্যানিক অ্যাটাক, নাকি হৃদযন্ত্রের ছন্দের সমস্যা—যেমন অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (এএফ)? দুটো অবস্থার উপসর্গ অনেকটা মিল থাকলেও, গুরুত্ব ও চিকিৎসা একেবারে আলাদা।

মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. কেশব আর হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন—দু’টিতেই হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং প্রবল ভয়ের অনুভূতি দেখা দিতে পারে। তবে মূল পার্থক্য হলো, অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশনে হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যা দেখা দেয়, যা স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে, প্যানিক অ্যাটাক মানসিক চাপের ফল, যা সাধারণত প্রাণঘাতী নয়।

অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন কী?

হৃদয়ের অনিয়মিত বৈদ্যুতিক সংকেতের কারণে পালস অনিয়মিত ও দ্রুত হয়ে যায়। এটি সাধারণত বয়স্ক, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, কিংবা যাদের আগে স্ট্রোক হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। 

আরও পড়ুন
প্রধান লক্ষণ:

> দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন

> মাথা ঘোরা বা বমিভাব

> অস্বাভাবিক ক্লান্তি

> শ্বাসকষ্ট

চিকিৎসা না নিলে এটি স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিওরের কারণ হতে পারে।

প্যানিক অ্যাটাক কীভাবে হয়?

এটি হঠাৎ তীব্র ভয় বা আতঙ্কের প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। মানসিক চাপ, পরীক্ষার ভয়, আবেগীয় সমস্যা বা কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াও এটি হতে পারে।

প্রধান উপসর্গ:

> দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন

> মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা

> অতিরিক্ত ঘাম, কাঁপুনি

> বুকে চাপ বা দম বন্ধ লাগা

> নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়

> এটি শরীরের ‘ফাইট-অর-ফ্লাইট’ প্রতিক্রিয়ার অতিরিক্ত সক্রিয়তার ফল। 

আরও পড়ুন
পার্থক্য বোঝা কেন জরুরি

ডা. কেশবের মতে, হৃদস্পন্দন বারবার বেড়ে গেলেই তা মানসিক উদ্বেগের ফল, এমন ধারণা ভুল। অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। আবার প্যানিক অ্যাটাক প্রাণঘাতী না হলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন।

যেহেতু দুই অবস্থার উপসর্গ প্রায় একই, তাই শুধু অনুভূতির ভিত্তিতে পার্থক্য করা কঠিন। ফলে হঠাৎ বা বারবার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে অবহেলা না করে ইসিজি, ইকোসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ধারণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সময়মতো চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার