Logo
Logo
×

লাইফস্টাইল

সন্তান জন্মের পর রোম্যান্স হারিয়ে যায়, দাম্পত্য জীবনে প্রেম ফেরাবেন যেভাবে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

সন্তান জন্মের পর রোম্যান্স হারিয়ে যায়, দাম্পত্য জীবনে প্রেম ফেরাবেন যেভাবে

বিয়ে হয়ে গেলে সন্তান জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী থেকে বাবা-মা হয়ে ওঠেন। দায়িত্ব বেড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনেও অনেক বদল আসে। সদ্যোজাতকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই। কিন্তু বাবা-মা হতে গিয়ে দুজনের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে না তো? 

যদিও এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। যে সময়ে সম্পর্ক আরও মধুর হওয়ার কথা, ঠিক সেই সময়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ফ্যাকাশে হয়ে যায়। কিছুটা দায়িত্বের চাপে দূরত্ব তৈরি হয়। কমে যায় শারীরিক মিলনের ইচ্ছাশক্তিও। এমনকি কথা বলাও কমে যায়। এমনটাই চলতে থাকলে সম্পর্ক আর রঙিন থাকে না, ফেকাশে হয়ে যায়। তাই সন্তান জন্মের পর সম্পর্কে মিষ্টতা ফেরাবেন কীভাবে, তা জানা উচিত।

সন্তানের জন্মের পর বাড়ির কাজ প্রচুর বেড়ে যায়। তখন একসঙ্গে আর সেসব কাজ করতে ইচ্ছা করে না। এটি মোটেও ঠিক নয়; হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করলে বন্ডিং আরও মজবুত হয়। পাশাপাশি কাজগুলোও তাড়াতাড়ি মিটে যায়। তা ছাড়া যত কাছাকাছি থাকবেন, খোলাখুলি কথা বলবেন, ভুল বোঝাবুঝি তত কমবে।

দেখা গেছে, সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির জীবনে রোম্যান্সের রং ফিকে হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক মিলনে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে। এর প্রভাব সম্পর্কের ওপরও পড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে হরমনাল ইমব্যালান্সের জন্য নারীদের মধ্যে যৌন মিলনের ইচ্ছা কমে যায়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে দুজনকে একসঙ্গে বসে কথা বলতে হবে। ভালোবাসা দেখাতে হবে। একে অন্যের কেয়ার নিতে হবে। হারানো রোম্যান্স ফিরিয়ে আনতে হবে।

কারণ নতুন সদস্য এলে তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে নিজেদের কথা কখনো ভুলে গেলে চলবে না। তাই নিজেদের জন্য সময় বের করা উচিত। দিনের একটা সময় একসঙ্গে কাটান। একসঙ্গে ডিনার করতে পারেন। মাঝেমধ্যে ডিনার ডেটেও যেতে পারেন। ওই সময়ে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলবেন। 

সাধারণত নারীরা প্রসবের পর পোস্টার্ম ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে যায়। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সঙ্গীর প্রয়োজন পড়ে। সেই সময় স্বামীকে যদি পাশে পাওয়া যায়, তাহলে এ জার্নিটা খুব সহজ হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন স্ত্রীর সবসময়ে পাশে থাকার এবং তাকে সাহায্য করার। কারণ স্ত্রী যেন ভেঙে না পড়ে। তার কাজের প্রশংসা করুন। মাঝেমধ্যে স্ত্রীর জন্য উপহার নিয়ে আসুন। সবসময় তার মন ভালো রাখুন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার