Logo
Logo
×

লাইফস্টাইল

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০১ পিএম

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যায় কম-বেশি অনেকেই ভুগে থাকেন। এটি হজমসংক্রান্ত সমস্যা। এটি যে কারও যে কোনো সময় দেখা দিতে পারে। এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। তবে প্রতিদিনের নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনতে পারে।  এ ধরনের সমস্যা হলে তা উপেক্ষা করা যাবে না।  সে জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই প্রাকৃতিকভাবে এটি দূর করা সম্ভব। ফল, শাকসবজি এবং হোল গ্রেইন ফুডের সঙ্গে ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি করলে মল নরম হয় এবং অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি পায়। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় —

টয়লেট

আমাদের শরীর ধারাবাহিকতার ওপর নির্ভর করে এবং মলত্যাগও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই একটি রুটিন তৈরি করার চেষ্টা করুন। যেমন প্রতিদিন একই সময়ে বাথরুমে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে খাবারের পর, আপনার পাচনতন্ত্রকে প্রশিক্ষণ দেবে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আপনি তাগিদ উপেক্ষা করুন। যদি বাথরুমে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেন, তাহলে পিছপা হবেন না। কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্যকে আরও খারাপ অবস্থা করে দিতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস

প্রতিদিনের সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে— ফাইবার। এই ফাইবারের অভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ। ফাইবার মলে আর্দ্রতা যোগ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। এটি মলকে নরম করে এবং সহজে বের করে দেয়। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে— কীভাবে ফাইবার যোগ করবেন? প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। বেশি বেশি ফল, শাকসবজি, ডাল এবং হোল গ্রেইন ফুড খাওয়ার চেষ্টা করুন। মল নরম করার জন্য ওটস, আপেল এবং তিসির মতো দ্রবণীয় ফাইবারও খেতে পারেন। অন্যদিকে অদ্রবণীয় ফাইবার, যেমন— গমের ভুসি ও পাতাযুক্ত শাকসবজি মলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং মলত্যাগে সহায়তা করে।

দ্রুত প্রতিকার

দ্রুত পরিত্রাণ পেতে খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যোগ করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আলুবোখারা ও ডুমুরের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ এতে ফাইবার ও প্রাকৃতিক যৌগ রয়েছে, যা অন্ত্রের গতিবিধিকে উদ্দীপিত করে। এ ছাড়া চিয়া বীজ ও তিসির বীজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিজিয়ে রাখলে এই বীজগুলো জেলের মতো গঠন তৈরি করে, যা মল নরম করতে সাহায্য করে এবং মলত্যাগ সহজ হয়।

হাইড্রেটেড থাকুন

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ডিহাইড্রেশন একটি ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা। এটি অবস্থা আরও খারাপ করে দিতে পারে। কারণ শরীরে তরলের অভাব হলে কোলন মল থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে। ফলে মল আরও শক্ত হয়ে যায় এবং মলত্যাগ যন্ত্রণাদায়ক হয়। এর সবচেয়ে বড় সমাধান হচ্ছে— প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। এটি মল নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। বিশেষ করে সকালে হালকা গরম পানি পান করলে মলত্যাগ ত্বরান্বিত হয়।

ব্যায়াম

শরীরের সব কার্যকারিতার জন্য শারীরিক কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর সঙ্গে হজমশক্তিও জড়িত। নিয়মিত ব্যায়াম অন্ত্রের কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। এর অর্থ এই নয় যে, আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে ঘাম ঝরিয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত হাঁটা, যোগব্যায়াম কিংবা হালকা স্ট্রেচিংয়ের মতো সহজ ব্যায়াম হজমে সহায়তা করে থাকে। ব্যায়াম অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজমের উন্নতির জন্য ভালো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার