Logo
Logo
×

লাইফস্টাইল

পুষ্টিগুণে টইটুম্বুর কাঁঠাল

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম

মৌসুমি ফল কাঁঠাল। আবার বাংলাদেশের জাতীয় ফলও এটি। এই সময়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের কাঁঠাল। এই ফলের গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন।  

কাঁঠালকে বিশেষত ‘সুপার ফুড’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সুপার ফুড বিশেষ ধরনের বিভিন্ন অসুস্থতা প্রতিরোধের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ইতিবাচক প্রভাব প্রদর্শন করতে সক্ষম খাবার, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তি প্রদান করে এবং প্রয়োজনীয় ম্যাক্রো ও মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে।

কাঁঠালের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে জাত হিসাবে কাঁঠালকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এই যেমন— খাজা, গালা বা রসা ও আদারসা। আকার-আকৃতি, স্বাদ এবং ফল ধারনের প্রকৃতি অনুযায়ী কাঁঠালের প্রচুর বৈচিত্র্য আছে।

খাজা 

মিষ্টি, মুচমুচেও স্বাদযুক্ত। কোষ আকারে বড় হয়, পাকার পর কম রসালো ও অপেক্ষাকৃত শক্ত বা কচকচে হয়। কোষ চিপলেও সহজে রস বের হয় না। রং ফ্যাকাশে হলুদ ও স্বাদ মোটামুটি মিষ্টি হয়। সহজে হজম হয় না বলে অনেকেই এ জাতের কাঁঠাল পছন্দ করেন না। খোসার রং পাকার পরও সবুজাভ থাকে এবং গায়ের কাঁটাগুলো মোটামুটি চ্যাপটা। বড় ও মসৃণ প্রকৃতির হয়।

গালা বা রসা

পাকা ফলের ভেতরে সহজেই আঙুল ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। যখন কাঁঠাল ভালোভাবে পাকে, তখন এর অভ্যন্তরে রক্ষিত কোষ বা কোয়া অত্যন্ত কোমল, মিষ্টি ও রসালো হয়। তবে কখনো কখনো রসের স্বাদ টক-মিষ্টিও হয়ে থাকে। কোষ অপেক্ষাকৃত ছোট হয়। খোসার গায়ে কাঁটাগুলো খুব একটা চ্যাপটা হয় না। পাকার পর একটু লালচে-হলুদাভ হয়। কোষগুলোকে সহজেই আলাদা করা যায়।

আর এই সুস্বাদু কাঁঠালের উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন। পুষ্টি গুণেভরা কাঁঠাল। কারণ কাঁঠালে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইটোকেমিক্যাল। এটি উচ্চ ধারণ করে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা, প্রোটিন, স্টার্চ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মুক্ত সুগার, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যালার্জিক অ্যাসিড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড যেমন— আর্জিনাইন, সিস্টাইন, হিস্টিডিন, লিউসিন, লাইসাইন, মেথিওনাইন, থেনাইন ও ট্রিপটোফান। কাঁঠালের রয়েছে বৈচিত্র্যময় ঔষধিগুণ। বিশেষ করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিক্যানসার এবং ব্যবহার করে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল কার্যকলাপে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার