উপকারিতা জানলে ফেলে দেবেন না জামের বিচি

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০২:১২ পিএম

জাম খেয়ে বিচি সাধারণত ফেলে দেই আমরা। কিন্তু জানেন কি এই উচ্ছিষ্টেরও কত গুণ। বহুকাল আগে থেকেই জামের বিচি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী জামের বিচি। আরও এমন কিছু আছে যা জানলে কখনও জামের বিচি ফেলবেন না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: জামের বিচিতে জ্যাম্বলিন (jamboline) নামক একটি উপাদান থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরিতে: জামের বিচিতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়তা: জামের বিচি গুঁড়া করে খেলে হজমে কিছুটা সহায়তা করতে পারে; বিশেষ করে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারে কিছু উপাদান।
ওজন কমাতে: নিয়মিত জামের বীজ খেলে মেদ ঝরে যায়। তাই ওজন বেশি থাকলে জামের বীজের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পেটের জন্য উপকারী: বদহজম, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো জটিলতায় জামের বিচি দারুণ কাজ করে। এই বীজ নিয়মিত খেলে পেটের অসুখ থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া যায়।
- কীভাবে খাওয়া যায়
বিচি শুকিয়ে গুঁড়ো করে সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে আধা চা চামচ করে খাওয়া যেতে পারে। খালি পেটে জামের বিচি না খাওয়াই ভালো এবং দিনে একবারই যথেষ্ট।
- সতর্কতা: যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে জামের বিচি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়া গর্ভবতী নারীদের জামের বিচি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা জরুরি।