Logo
Logo
×

তথ্যপ্রযুক্তি

আগামী বছর স্মার্টফোনের দাম কেমন হবে? বাড়বে নাকি কমবে

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

আগামী বছর স্মার্টফোনের দাম কেমন হবে? বাড়বে নাকি কমবে

একটি স্মার্টফোনের দাম সাধারণত নির্ভর করে বিশাল স্ক্রিন, চকচকে ক্যামেরা আর স্টোরেজ সক্ষমতার ওপর। আগামী বছর এমন আরেকটি উপাদান স্মার্টফোনকে আরও দামি করে তুলতে পারে। এটি হলো মেমোরি বা র‍্যাম। এটা যে শুধু স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এমন নয়। অন্য সব ডিভাইস যেমন ট্যাবলেট বা স্মার্টওয়াচেরও দাম একই কারণে বেড়ে যেতে পারে।

এর একটি কারণ হলো বড় বড় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ওপর জোর দিচ্ছে। আর এ কারণে এআই ডেটা সেন্টারের জন্য উৎপাদন বাড়াতে হচ্ছে। এতেই দাম বাড়ছে মেমোরির। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সিনিয়র বিশ্লেষক ইয়াং ওয়াং বলেন, ‘এখন পুরো বাজারই এক মারাত্মক চাপের মধ্যে, সবদিকেই সংকট।’

বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (আইডিসি) এই সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছে, মেমোরি সংকটের কারণে ২০২৬ সালে স্মার্টফোন বাজার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে কাউন্টারপয়েন্টের পূর্বাভাস, মেমোরির দাম আগামী বছরের শুরুতে আরও ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।

এআইয়ের বাড়তি চাহিদা সামলাতে মেটা (ফেসবুক), মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো টেক জায়ান্টগুলো এ বছর থেকে বেশ জোরেশোরে তাদের ডেটা সেন্টার ও অবকাঠামো সম্প্রসারণ শুরু করেছে। ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানির এক প্রতিবেদন বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের অবকাঠামোতে প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।

বিশ্লেষক ইয়াং ওয়াং বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে মেমোরি নির্মাতা মাইক্রন ও স্যামসাং তাদের উৎপাদনের দৃষ্টি ডেটা সেন্টারের দিকে সরিয়ে নিয়েছে। ফলে ভোক্তাদের পণ্যের জন্য বরাদ্দ কমে গেছে।’

মাইক্রন গত বুধবার জানিয়েছে, এআইয়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য ব্যবহার হওয়া মেমোরির ব্যবসা থেকে সরে যাচ্ছে।

স্যামসাংয়ের মেমোরি বিভাগের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট জায়েজুন কিম গত অক্টোবরেই জানিয়েছিলেন, এআই ও ডেটা সেন্টারের জন্য মেমোরির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এ কারণে মোবাইল ও পার্সোনাল কম্পিউটারের (পিসি) মেমোরির সংকট আরও তীব্র হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাজেট নির্মাতারা হয়তো উন্মোচন ও দামের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন। সেমিকন্ডাক্টর শিল্প পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্স বলছে, মেমোরির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর স্মার্টফোনের উৎপাদন খরচ ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

আইডিসির সিনিয়র রিসার্চ ডিরেক্টর নাবিলা পোপাল মনে করছেন, এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে সস্তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে। কারণ এই ফোনগুলোর লাভের মার্জিন সাধারণত অনেক কম। তিনি বলেন, ‘সস্তা এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর দাম বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।’

কোম্পানিগুলো আরও মুনাফার জন্য বেশি দামের ফোন বাজারে আনা কমিয়ে দিতে পারে। পোপালের হিসেবে স্মার্টফোনের গড় বিক্রয়মূল্য আগামী বছর ৪৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে। এতে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারের আকার দাঁড়াবে রেকর্ড ৫৭৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।

অবশ্য পোপাল ও ওয়াং বলছেন, আগামী বছরের শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। ফলে বাড়তি চাপ থাকবে না এবং স্মার্টফোনের দামও কমবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার