চ্যাটজিপিটি নিয়ে কিমের ‘ভালোবাসা-ঘৃণার সম্পর্ক’
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
রিয়েলিটি টিভি তারকা ও আইনজীবী হতে আগ্রহী কিম কার্দাশিয়ান সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), বিশেষ করে চ্যাটজিপিটিকে নিয়ে নিজের মজার অথচ হতাশাজনক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে কিম হেসে বলেন, চ্যাটজিপিটি এখন তার ‘ফ্রেনেমি’ — অর্থাৎ একই সঙ্গে বন্ধু ও শত্রু। কারণ, এই চ্যাটবটের দেওয়া ভুল আইনি পরামর্শের কারণে তিনি একাধিকবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।
কিম বলেন, আমি প্রায়ই আইনি প্রশ্নের উত্তর জানতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করি। কোনো প্রশ্ন থাকলে ছবি তুলে সেটি সেখানে দিই। কিন্তু উত্তরগুলো প্রায়ই ভুল হয়। এগুলোর কারণে আমি পরীক্ষায় ফেল করেছি।
তিনি আরও জানান, এমন অভিজ্ঞতায় অনেক সময় চ্যাটবটের ওপর রাগ ঝাড়েনও। যখন বুঝি ওর উত্তরে আমি ভুল করেছি, তখন চিৎকার করে বলি— ‘তুমি আমাকে ফেল করালে!’
এআই হ্যালুসিনেশন ও আইনি ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিমের অভিজ্ঞতা অস্বাভাবিক নয়। চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য বড় ভাষা মডেলগুলোর একটি বড় সমস্যা হলো তথাকথিত হ্যালুসিনেশন— অর্থাৎ ভুল বা কল্পিত তথ্য তৈরি করা।
এই ত্রুটির কারণে ইতিমধ্যেই কিছু আইনজীবী বিপদে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক আইনজীবীকে জরিমানা করা হয়েছে, কারণ তারা চ্যাটজিপিটির তৈরি নথি আদালতে জমা দিয়েছিলেন, যেখানে ছিল কাল্পনিক মামলার রেফারেন্স।
আরও পড়ুন
‘একটা মেশিনের সঙ্গে তর্ক করি’
কিম জানান, ভুল উত্তর পাওয়ার পর কখনও কখনও তিনি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথাও বলেন, যেন এটি অনুভূতি বুঝতে পারে। আমি ওকে বলি, ‘তুমি আমাকে ফেল করালে, এতে তোমার কী মনে হয়?’
তবে চ্যাটবটের এক উত্তরে তিনি হাসেনও। সেটি বলেছিল, এতে তুমি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে শিখছো।
কিম বলেন, অবশ্যই ওর কোনো অনুভূতি নেই, কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা ওর আচরণে প্রতিক্রিয়া দেখাই।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট কিম প্রায়ই তার বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাটে পাঠান। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, আমি বলি, দেখো তো— এই বটটা আমাকে কীভাবে কথা বলছে।
যদিও কিমের অভিজ্ঞতা অনেক সময় হতাশাজনক, তবুও তার মন্তব্যে ফুটে উঠেছে এক নতুন বাস্তবতা— পেশাগত জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ ও সতর্কতা, যা এখন বহু জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।