গতকাল (৫ ডিসেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের ড্র। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা পড়েছে ‘জে’ গ্রুপে। যেখানে মেসিদের গ্রুপসঙ্গী অস্ট্রিয়া, আলজেরিয়া ও জর্ডান।
আগামী বিশ্বকাপের সময় মেসির বয়স হবে ৩৯ ছুঁইছুঁই। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপ খেলার। যা কিনা হতে যাচ্ছে তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। ২০২২ বিশ্বকাপ জেতার পর অপ্রাপ্তি বলতে আরকিছুই নেই মেসির ক্যারিয়ারে। এরপরও খেলবেন ২০২৬ বিশ্বকাপ।
ক্যারিয়ারের সবশেষ বিশ্বকাপ আসর হতে যাচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও। ৪০ বছর বয়সী রোনালদোর দল পড়েছে ‘কে’ গ্রুপে। যেখানে তার দলের গ্রুপসঙ্গী কলম্বিয়া, উজবেকিস্তান ও প্লে-অফ থেকে উঠে আসা দল। মেসির মতো রোনালদোও ক্যারিয়ারের শেষ ও ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলবেন। এটাই তার জন্য শেষ সুযোগ ক্যারিয়ারের একমাত্র অপ্রাপ্তি দূর করার।
ক্লাব ফুটবল থেকে আন্তর্জাতিক শিরোপা নিয়ে একসময় তুমুল প্রতিযোগিতা চলতো মেসি ও রোনালদোর। ২০১৬ তে পর্তুগাল ইউরো জিতলেও ২০২১ সালের আগে আর্জেন্টিনার হয়ে কিছুই জিততে পারেননি মেসি। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শিরোপা জেতার পর মেসি নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। এখন দুজনের কেউই খেলেন না ইউরোপে।
দুই কিংবদন্তীর ভক্তদেরও তাই আগের মতো তর্কে লিপ্ত হতে দেখা যায় না। এরপরও দুয়ারে যখন আবার বিশ্বকাপ, কিছু আলোচনা তো জন্ম নেয়ই। যেমন আসন্ন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের কি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? সময়ের সেরা দুই কিংবদন্তীকে বিশ্বকাপের একে-অপরের বিপক্ষে খেলতে দেখা নিশ্চিতভাবেই অনেক বড় প্রাপ্তি হবে তাদের ভক্তদের জন্য।
একটা সুযোগ অবশ্যই আছে। দুই দেশের খেলা পড়তে পারে নকআউটে। কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হয়ে যেতে পারে মেসি-রোনালদোর। তবে এক্ষেত্রে দুই দলকেই নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী পর্যায়ে যেতে হবে। গ্রুপের পর পরের দুই রাউন্ডও জিতে কোয়ার্টারে যেতে হবে।