পেপ গার্দিওলা বললে আপনার মগজে ভেসে ওঠে এক টেকো ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি। বহু বছর ধরেই এই অবতারে জনসম্মুখে স্প্যানিশ এই কোচ। কিন্তু এই কোচ এখন দাবি করছেন, তার চুল এই গতকালও ছিল। গত রাতে সব পড়ে গেছে!
এর নেপথ্য কারণ হিসেবে তিনি দাঁড় করিয়েছেন ফুলহ্যামের মাঠে ৫-৪ গোলের রোমাঞ্চকর জয়কে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫-১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সিটি। তবে সেখান থেকে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা। এক এক করে গোল শোধ করতে করতে স্কোরলাইন ৫-৪ করে ফেলেছিল।
ম্যাচের শুরুটা ছিল সিটির দারুণ। মাত্র ১৭ মিনিটে আর্লিং হালান্ড তার প্রিমিয়ার লিগের ১০০তম গোল করেন। এটি লিগের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এরপর তিনি তিয়ানি রেইন্ডার্সকে গোলে সহায়তা করেন। কিছুক্ষণ পর ফিল ফোডেন সিটির তৃতীয় গোলটি করেন। মনে হচ্ছিল সিটির জন্য সহজ জয় অপেক্ষা করছে।
কিন্তু ফুলহ্যাম তখন ম্যাচে ফিরে আসে। এমিল স্মিথ রো হেড করে ব্যবধান কমান। দ্বিতীয়ার্ধে জেরেমি ডকুর শট প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে জালে গেলে সিটি ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এখান থেকেই শুরু হয় নাটক। অ্যালেক্স ইওয়োবি গোল করেন এবং দ্রুত দু’টি গোল করেন স্যামুয়েল চুকওয়েজে। ফলে ম্যাচ দাঁড়ায় ৫-৪। শেষ মুহূর্তে জসকো গেভার্দিওলের একটি ক্লিয়ারেন্স সিটিকে রক্ষা করে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার মুহূর্তেই গার্দিওলা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা উপভোগ করলেন তো? ভালো না?!’ এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি নিজে ম্যাচটা উপভোগ করেছেন কি না। জবাবে গার্দিওলা রসিক ভঙ্গিতে বলেন, ‘আমি?! ওহ ঈশ্বর! আমার তো চুলই পড়ে গেল!’
ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জিজ্ঞেস করবেন কী হয়েছে – আমার কোনো উত্তর নেই! এটাই প্রিমিয়ার লিগ। ফুটবল হলো অনুভূতির খেলা। সব গোলই ভুল ডিফেন্ডিং থেকে এসেছে। কিন্তু আমরা অনেক ভালো কাজও করেছি। হালান্ডের সুযোগ ছিল ৬-৩ করার। এক মিনিট পরই হলো ৫-৪! তখন টিকে থাকাটাই আসল বিষয়। কিভাবে বাঁচলাম জিজ্ঞেস করবেন না। খেলোয়াড়রাও জানে না। কিছুটা ভাগ্য লাগে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হওয়ার আগে গার্দিওলা বলেন, ‘৫-১ এ যখন ছিলাম, আপনারা তো তখন আগামীকালের শিরোনাম লেখা শুরু করে দিয়েছিলেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটি জয়ে ফিরেছে’। এখন তো সবই ডাস্টবিনে, আবার নতুন করে শুরু করতে হলো আপনাদের!’