
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই অভিষেক হয়ে গেল মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। শেষ কয়েক বছর ধরে তিনি পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ এ দলসহ ঘরোয়া ক্রিকেটে। তারই প্রতিদান এবার পেলেন তিনি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে শেষ কয়েক বছর ধরেই দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। নিদেনপক্ষে ৪০০ করে রান করেছেন শেষ তিন মৌসুমে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) তিনি ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। সবশেষ ডিপিএলে তিনি ১১ ম্যাচ খেলে প্রায় ৪৮ গড়ে ৪৩১ রান করেছেন। এই সময়ে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৭০.৫৯। ২০২৪ ডিপিএলে তার গড় ছিল ৪৬.২১। রান করেছেন ৬৪৭। স্ট্রাইকরেট ছিল ৭০ এর আশেপাশে।
২০২৩ ডিপিএলেও তিনি রান করেছেন দেদারসে। ৪১ গড়ে ৫৭৪ রান করেছেন অঙ্কন। স্ট্রাইক রেট ছিল ৮২.৫৮। স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা উঠতেই পারে। তবে শেষ কিছু দিনে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যর্থতার পর এখন এমন প্রোফাইলের ব্যাটারই প্রয়োজন ছিল দলের, যিনি দলের প্রয়োজনে ধস সামাল দিতে পারেন, লম্বা ইনিংস খেলতে পারেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যর্থ হওয়ার নজির বাংলাদেশে কম নেই। অঙ্কন ইঙ্গিত দিয়েছেন সেখানেও উতরে যাওয়ার। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ২০২৫ সালে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এক ম্যাচে ছিলেন অপরাজিত, দুই ম্যাচে রান করেছেন ১৪৫। ৮২ স্ট্রাইক রেটটাও ছিল বেশ স্বাস্থ্যবান।
এমন পারফরম্যান্সের পর এবার জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন অঙ্কন। ধারবাহিকতা বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে টেনে আনতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।