উইকেটের পেছনে দিনদিনই ভরসার নাম হয়ে উঠছেন লিটন দাস। এরইমধ্যে হয়ে উঠেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের বিকল্প। লিটনের পরিসংখ্যান অন্তত সে কথায় বলছে। পরিসংখ্যান বলছে সাদা পোশাকে ডিসমিসালে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেরা লিটন। 

সবশেষ গলে শ্রীলংকার বিপক্ষে ড্র হওয়া টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে লাহিরু উদারাকে স্ট্যাম্পিং করে মুশফিকের অর্জন স্পর্শ করেন লিটন।

টেস্টে এই মুহূর্তে লিটনের ডিসমিসাল সংখ্যা ১১৩টি। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের তালিকায় লিটনের পাশেই আছে মুশফিকুর রহিমের নাম। অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটারও করেছেন ১১৩ ডিসমিসাল। তবে মুশফিক যেটা অর্জনে সময় নিয়েছেন ৯৯ ইনিংস। লিটন কুমার দাস সেটা করেছেন মাত্র ৬৪ ইনিংসেই। 

মুশফিকের ইনিংসপ্রতি ডিসমিসাল ১.১৪১। বিপরীতে লিটন দাসের ডিসমিসাল ইনিংসপ্রতি ১.৭৬৫। যা জানান দেয় এই ফরম্যাটে লিটন এখন বাকিদের থেকে ঢের এগিয়ে।

লিটন-মুশফিকের পর বাংলাদেশের হয়ে কমপক্ষে ৫০ ডিসমিসাল আছে আর কেবল খালেদ মাসুদ পাইলটের। সাবেক অধিনায়ক পাইলটের টেস্ট ডিসমিসাল ৮৭টি। ইনিংসপ্রতি ডিসমিসালের হিসেবে সংখ্যাটা ১.৪২।

তবে ম্যাচের হিসেবটা যদি ১০ এ নামিয়ে আনা হয়। তবে এ পরিসংখ্যানে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন নুরুল হাসান সোহান। কমপক্ষে দশ ডিসমিসাল আছে এমন উইকেটরক্ষকের হিসেবে তার ইনিংসপ্রতি ডিসমিসাল ১.৮৮। 

কিপিংয়ে এগিয়ে গেলেও ব্যাটার হিসেবে মুশফিকই এগিয়ে। উইকেটরক্ষক থাকা অবস্থায় ১০৪ ইনিংসে ৩৭ গড়ে ব্যাট করেছিলেন মুশফিক। অন্যদিকে ৩৬ দশমিক ৭৩ গড়ে ব্যাট করেছেন লিটন কুমার দাস।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল (ইনিংসপ্রতি ডিসমিসাল)

১১৩ - লিটন কুমার দাস (১.৭৬৫) 

১১৩ - মুশফিকুর রহিম (১.১৪১)

৮৭ - খালেদ মাসুদ পাইলট (১.৪২৬) 

৩৪ - নুরুল হাসান সোহান (১.৮৮৮)