অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেইজ বেইট’
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ কি আপনার মনে হয়—আপনি যেন অকারণে বিরক্ত বা রাগান্বিত হয়ে পড়ছেন?
যদি এমনটা ঘটে, তাহলে সম্ভবত আপনি ‘রেইজ বেইট’-এর ফাঁদে পা দিয়েছেন।
২০২৫ সালের সেরা শব্দ বা বাক্যাংশ হিসেবে এবার ‘রেইজ বেইট’-কে বেছে নিয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত এক বছরে শব্দটির ব্যবহার তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। ‘রেইজ বেইট’ মূলত এমন কনটেন্ট বা অনলাইন কৌশলকে বোঝায়, যা মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজিত বা ক্ষুব্ধ করে তাদের বেশি সময় অনলাইনে আটকে রাখে।
এই খেতাব অর্জনের জন্য ‘রেইজ বেইট’ পেছনে ফেলেছে আরও দুটি মনোনীত শব্দ—‘অরা ফার্মিং’ এবং ‘বায়োহ্যাক’। সারা বছরে কোন শব্দকে নিয়ে মানুষের কথাবার্তা বেশি হয়েছে—সেটিই সেরা শব্দ নির্বাচনের প্রধান মানদণ্ড।
রেইজ বেইট কী?
আপনি শব্দটি আগে না জানলেও, যদি নিয়মিত ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, তাহলে সম্ভবত আপনিও কখনো না কখনো ‘রেইজ বেইট’-এর শিকার হয়েছেন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘রেইজ বেইট’ হলো এমন সব পোস্ট বা ভিডিও, যা মানুষের রাগ, হতাশা বা বিরক্তি উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বানানো হয়। এসব কনটেন্ট সাধারণত বিতর্কিত বা উসকানিমূলক হয় এবং মূল লক্ষ্য থাকে—মানুষকে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করা, তাতে সম্পৃক্ততা বাড়ানো।
এটি ইন্টারনেটের আরেক কৌশল ‘ক্লিকবেইট’-এর মতো। তবে পার্থক্য হলো, ক্লিকবেইট আকর্ষণীয় শিরোনাম দিয়ে মানুষকে ক্লিক করায়, আর রেইজ বেইট মানুষকে রাগিয়ে সম্পৃক্ততা বাড়ায়।
অরা ফার্মিং—এটি এমন কারো আচরণ বোঝায়, যিনি নিজের ব্যক্তিত্বকে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যাতে তাকে খুব আত্মবিশ্বাসী, শান্ত বা রহস্যময় মানুষ হিসেবে দেখা যায়।
বায়োহ্যাক—নিজের শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা, স্বাস্থ্য বা আয়ু বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করাকে বোঝায়। এতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ব্যায়াম, জীবনযাপনের রুটিন, ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, বা প্রযুক্তিভিত্তিক ডিভাইস ব্যবহারের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত।