সন্ধ্যায় বিএনপির বৈঠক: বঞ্চিতদের জন্যেও আসতে পারে ‘সুখবর’
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন বণ্টন নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর সঙ্গে টানাপোড়েনে পড়েছে বিএনপি। এই উত্তেজনা কমাতে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ এবং গণফোরামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে দলটি।
বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭২ আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি আসনে জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু সেসব আসন ছাড়েনি বিএনপি। এতে শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ, সন্দেহ ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বৈঠকে সেই অস্বস্তির বিষয়গুলোই প্রধান আলোচ্য হবে।
তবে দলটির শীর্ষ পর্যায় সূত্র জানায়, আসন বঞ্চিতদের জন্যও ‘সুখবর’ হতে পারে। যাদের মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের রাজনৈতিক মূল্যায়ন করার বিকল্প পথ খুঁজছে বিএনপি। বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় সীমিত আসন দিয়ে হলেও জোটের ঐক্য ধরে রাখতে চায় দলটি। নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ, সংসদের উচ্চকক্ষ বা নীতিনির্ধারণী জায়গায় শরিকদের রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে।
মিত্র দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বলছেন, তারা আন্দোলনের সময় পাশে ছিলেন, ত্যাগ করেছেন-সেই মূল্যায়ন প্রার্থী বাছাইয়ে প্রতিফলিত হোক চান তারা। একাধিক শরিক দলের নেতা জানান, বিএনপি স্পষ্ট বার্তা না দিলে তারা নিজেদের জোটবদ্ধ করে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করার চিন্তা করছেন।
এদিকে বিএনপি-শরিকদের এই দূরত্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জামায়াতে ইসলামী। প্রয়োজনে শরিক নেতাদেরকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে নেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের।
বিএনপি আজকের বৈঠকে কতটা আশ্বস্ত করতে পারে, তাতেই নির্ভর করবে জোটের ভবিষ্যৎ পথচলা এবং বঞ্চিতদের জন্য কাঙ্ক্ষিত সেই ‘সুখবর’ আদৌ আসে কি না-এখন নজর সেদিকেই।