স্নিগ্ধর আশা পূর্ণ হলোনা, ঢাকা ১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধের আশা পূর্ণ হলো না। ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি নন, নাম ঘোষণা হলো ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের।
বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও ৩৬ আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন। গত ৩ নভেম্বর এই আসনটিসহ ৬৩টি আসন ফাঁকা রেখেছিল দল। ফলে এখন ফাঁকা থাকছে ২৭ আসন।
বিএনপির সেই প্রার্থী ঘোষণার পরদিন ৪ নভেম্বর বিএনপিতে যোগ দেন স্নিগ্ধ। ঢাকার উত্তরায় তার বাসা, যেটি পড়েছে ঢাকা-১৮ আসনে। বিএনপি সেই আসনটি ফাঁকা রাখায় গুঞ্জন ছড়ায় যে তাকে প্রার্থী করতে যাচ্ছে দল।
বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চার দিন পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে আমি উত্তরাকেন্দ্রিক যে আসনটি রয়েছে, সেখানে কাজ করার জন্য চাইব।”
তবে আসনটিতে মনোনয়ন পাওয়া জাহাঙ্গীরও ছেড়ে কথা বলার মানুষ ছিলেন না। আওয়ামী লীগ আমলে তিন শতাধিক মামলা এবং দুটিতে সাজা নিয়েও তিনি দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে পিছপা হননি।
ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভর করে তো আর দল চলবে না। নানান গুঞ্জন সমালোচনা আলোচনা থাকবেই, সবশেষে দল যা সিদ্ধান্ত নিবে তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সব কিছু বিবেচনায় সর্বশেষ দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সম্মতিক্রমে হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে থাকে।
বিএনপি নতুন করে যে নাম ঘোষণা করেছে, তাতে রাজধানীর আরও তিনটি আসন আছে। এর মধ্যে ঢাকা-৭ আসন পেয়েছেন হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ পেয়েছেন হাবিবুর রশিদ আর ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম।
এই আসনগুলোর মধ্যে একাধিক জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। অন্যদিতে ঢাকা-১০ আসনটি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে অসংখ্য প্রতিবেদন এসেছে।
এখনও রাজধানীতে তিনট আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষিত হয়নি। এগুলো হলো: ঢাকা-১৩, ১৭ ও ঢাকা-২০।