আমরা সবাই আশা করেছিলাম তারেক রহমান দেশে আসবেন: মীর্যা গালিব
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১০ পিএম
গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন—এমন প্রত্যাশা জনমনে ছিল। কিন্তু তিনি এখনো দেশে না ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মীর্যা গালিব।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে একটি গণমাধ্যমের টকশোতে তিনি এসব মতামত তুলে ধরেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জামায়াত নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে গালিব বলেন, আমরা সবাই আশা করেছিলাম তারেক রহমান দেশে আসবেন। যখন এত বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে, তখন প্রধান নেতার দেশে ফিরে আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি না আসায় মানুষ প্রশ্ন করবেই। জামায়াতের যে বক্তব্যগুলো এসেছে, সেগুলো মানুষের সেই প্রশ্নের ধারাবাহিকতাই।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের কাছে খালেদা জিয়া সম্মানের প্রতীক। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তিনি একটি ঐতিহাসিক চরিত্র। ভারতের প্রভাবের বিরুদ্ধে তার অবস্থানও দৃঢ়—এ কারণে তিনি এক ধরনের জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছেন।
মীর্যা গালিব তারেক রহমানের দেশে না ফেরার সমালোচনাকে তিন ভাগে ব্যাখ্যা করেন—এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি কখন ফিরবেন বা ফিরবেন না—এ বিষয়ে অনেকে মন্তব্য করতে পারেন ঠিকই, তবে সেটি উপযুক্ত পন্থা নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অবশ্যই এটিকে ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেই বিবেচনায় তার দেশে ফিরে এসে দলের নেতৃত্ব দেওয়া দরকার। কিন্তু এটিও দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বাইরের কারো বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার কম।
তারেক রহমান বলেছেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তার নিজের হাতে নেই। এখানেই মূল প্রশ্ন—তাহলে কি তার নিরাপত্তাজনিত কোনো ইস্যু রয়েছে? সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে দেখা হয়ে থাকে। তিনি যদি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তও নিতে না পারেন, তাহলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন উঠতেই পারে এটি যৌক্তিক জিজ্ঞাসা।
গালিবের বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বের দুর্বল জায়গাগুলো কাজে লাগাতে জামায়াত চেষ্টা করছে এটিকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক আচরণ বলেই তিনি মনে করেন।
তবে তিনি মনে করেন, এটি দুই দিক থেকে ইতিবাচক নয় সামগ্রিক রাজনৈতিক বিচক্ষণতার জায়গায়, এবং বৃহৎ দুই দলের গণতান্ত্রিক আচরণগত সৌন্দর্যের দিক থেকে।
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন দেশের সংকটে জনগণকে ফেলে বিদেশে অবস্থানকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের নেতারা পালিয়ে যাননি; বরং কেউ কেউ বিদেশ থেকে ফিরেই ফাঁসির দণ্ড মঞ্চে গেছেন।
অন্যদিকে দলটির এমপি প্রার্থী আইনজীবী শিশির মনির মন্তব্য করেন আমি তারেক রহমান হলে, মায়ের অবস্থার কথা বিবেচনা করে দেশে চলে আসতাম।