সমঝোতার পথে ইসলামী দলগুলো, ৯০ আসন ছাড়তে পারে জামায়াত
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
সমমনা ৮ ইসলামী দলের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি এরই মধ্যে তাদের প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে। ইসলামি দলগুলোর ঐক্য রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা দেখাবে জামায়াতে ইসলামী। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে সমমনা ইসলামী দলগুলোর জন্য ৮০ থেকে ৯০টি পর্যন্ত আসন ছেড়ে দিতে পারে জামায়াত।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে আমরা প্রার্থীও দিয়েছি। তবে এবার সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করানোর জন্য দল সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। সেই হিসেবে আমাদের প্রাথমিক তালিকার প্রার্থীদের কেউ কেউ বাদ পড়বেন। এটা স্বাভাবিক।
ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, দেশের কওমি মাদরাসার প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কওমি ঘরানার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কওমিদের বিখ্যাত মাদরাসাগুলো যেখানে অবস্থিত, সেই এলাকায় এসব দলের অবস্থান ও জনসমর্থন তুলনামূলকভাবে বেশি।
বিশেষ করে মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার আশপাশে তার উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন রয়েছে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় কওমি মাদরাসার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানেও কওমি ঘরানার দলগুলোর প্রভাব শক্তিশালী।
নেতাকর্মীরা জানান, চট্টগ্রামে হাটহাজারী, বরিশালে চরমোনাই, ঝালকাঠিতে এনএস কামিল ও ছারছিনা মাদরাসা— এ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এলাকায় কওমিভিত্তিক দলগুলোর অবস্থান বেশ মজবুত। এসব এলাকায় জামায়াত তাদের প্রার্থী বসিয়ে নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে পারে এবং চরমোনাই ও খেলাফত মজলিসকে প্রার্থী দিতে হতে পারে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জামায়াতের প্রার্থীদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে জামায়াতসহ আট দল সমঝোতার পথে এলেও তাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসলামি দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতারা। এক্ষেত্রে জামায়াত তার চূড়ান্ত প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে বলে জানা গেছে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর এক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দল জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী এবং যোগাযোগও আছে। তবে এনসিপির অভ্যন্তরীণ বিভক্তির কারণে তারা বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে। ফলে জামায়াতের সঙ্গে আসার সম্ভাবনা কম।