তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ‘চা চক্রে’ বিএনপি-জামায়াতের দুই প্রার্থী
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুরেও ভোটের আমেজ চলছে। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের লক্ষ্মীপুরে ও জামায়াতের দুই প্রার্থীর যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। কেন্দ্রীয় এই দুই নেতা কেন্দ্রের সভা-সেমিনার সামলিয়ে এলাকায় এসে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রচারণায় দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত একটি ওয়াজ মাহফিলে অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম। সেখানেই স্থানীয় একটি কার্যালয়ে তারা একটেবিলে চা-চক্রে মিলিত হন।
এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন দৃশ্যকে সবাই স্বাগত জানিয়েছেন।
ভিডিওতে ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে বলতে শোনা যায়, রেজাউল করিম আমার প্রিয় ভাই। এটা ফ্যাসিস্টের লড়াই না ৷ বন্ধুত্বের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই।
ভিডিওতে দেখা যায় এ্যানিকে সম্বোধন করে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী রেজাউল করিম বলছেন, চট্টগ্রাম থেকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আমিসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সহ-সভাপতিকে এক রশিতে বেঁধে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। তখন কুমিল্লায় এসে আমি বললাম আমি আছরের নামাজ পড়বো। তখন আমাকে একটা কলেজে নেওয়া হলো। যখন আমি শিবিরের সভাপতি ছিলাম। সেইদিন এই কলেজে নবীনবরণে আসলাম। সবাই ফুল দিয়ে আমাকে বরণ করেছে। আর সেদিন হাত পায়ে ডান্ডাবেড়ি নিয়ে কলেজে ঢুকলাম। সবাই আমাকে দেখার জন্য ছুটে এলো। তখন আমি ভাবলাম দৃশ্যটা পাল্টে গেল।
রেজাউলের কথাগুলো শুনে এ্যানি চৌধুরী আফসোস করে বলেন, তখন তো অত্যাচারের শেষ ছিল না।
এদিকে উঠান বৈঠক বা সমাবেশে ভোট চাইতে গিয়ে কোনো না কোনোভাবে দুই প্রার্থী একে অপরকে কিংবা দলের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তাদের এসব বক্তব্য ঘিরে কর্মী-সমর্থকরা ফেসবুকে তুমুল সমালোচনায় মেতে ওঠেন। এমন সমালোচনা বা ক্ষোভ ফেসবুক পর্যন্তই যেন থাকে সে প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
চা চক্রে জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও জামায়াতের লক্ষ্মীপুর শহরের আমীর আবুল ফারাহ নিশানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।