জামায়াতের মনোনয়ন আলোচনায় ৪ নারী নেত্রী
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ধরে মাঠে সরব বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মাস তিনেক আগেই ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দেয় জামায়াত। তবে ইসলামি আট দলের সঙ্গে সমঝোতার পর নতুন করে প্রার্থী চূড়ান্তে কার্যক্রম চালাচ্ছে দলটি।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামায়াতের বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী মনোনয়ন পাচ্ছেন খবর ছড়িয়েছে। জামায়াতের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নারীদের প্রার্থী করা হতে পারে কিন্তু ঠিক কতজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে বলা হচ্ছে, জামায়াতের নেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপিকা নুরুন্নিসা সিদ্দিকা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মারদিয়া মমতাজ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতের মহিলা বিভাগের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাবিকুন্নাহার মুন্নী এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আমিনা বেগম।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জামায়াতের মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপিকা নুরুন্নিসা সিদ্দিকার সঙ্গে। দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার মতো যোগ্য ও দক্ষ নেত্রী জামায়াতে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মনোনয়নের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে দল যদি মনে করে আমাদের প্রয়োজন, বা আমাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয় সেক্ষেত্রে দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা এগিয়ে আসবো।
প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়টি আলোচনাধীন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রে নারী ও ভিন্ন ধর্মের মানুষকেও প্রার্থী করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন জামায়াতের এই নেতা।
নারী নেত্রীদের প্রার্থী করার চিন্তাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা লন্ডন প্রবাসী ড. মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন মৃধা বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের এমন চিন্তা ঐতিহাসিক। দেশ ও বিদেশে দলের গ্রহণযোগ্যতা ও ইতিবাচক মনোভাব বাড়াতে এ ধরেনর সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।
জামায়াত কর্তৃক নারীদের প্রার্থী করার চিন্তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তৃণমূলের নেতারাও। দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ বিভাগের এক থানা সেক্রেটারি নূর আলম বলেন, নারীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। জামায়াতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তাই দলের নারী নেতৃত্বকে সামনে আনা দরকার। রাসূল (সা.) বিদায় হজের ভাষণে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমঅধিকার বা এক হয়ে কাজ করতে উৎসাহ দিয়েছেন, সেই আলোকে জামায়াত একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তাই নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জামায়াত যে নারী বিদ্বেষী নয় তা প্রমাণ হয়ে যাবে। জনগণও জামায়াতের নারী নেত্রীদের সানন্দে গ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই নেতা।