Logo
Logo
×

রাজনীতি

বাদ পড়ছেন বিএনপির বিতর্কিত প্রার্থীরা!

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ এএম

বাদ পড়ছেন বিএনপির বিতর্কিত প্রার্থীরা!

২৩৭ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকেই কিছু আসনে বিতর্কিত, বার্ধক্যজনিত সমস্যা, সংস্কারপন্থি, অযোগ্য ও হাইব্রিড নেতা মনোনয়ন পাওয়ায় তৃণমূলে বাড়ছে দলীয় কোন্দল। এসব আসন নিয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে দলটি। এরই মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনে বিতর্কিত কামাল জামাল মোল্লার প্রার্থিতা স্থগিত হয়েছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এখনো চলছে বিক্ষোভ ও মিছিল। বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, যেসব আসনে প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সেসব আসনে পরিবর্তন হতে পারে। সবমিলিয়ে ৩০টির মতো আসনে এই পরিবর্তন আসতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত ২৩৬ জনের মধ্যে যাদের নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা অভিযোগ নেই তারা চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু যেসব আসনে প্রার্থীকে নিয়ে বিতর্ক আছে, সেসব আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর অবস্থান নতুন করে আবারও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠের প্রকৃত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একজন উপদেষ্টা এই কাজে সহায়তা করছেন। তফসিল ঘোষণার আগে-পরে এই তালিকায় প্রয়োজন অনুসারে কিছু প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার জন্য কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। 

দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার সময়েই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিষ্কারভাবে বলেছেন, এটা সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা। প্রয়োজনে পরিবর্তন আসতে পারে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিতে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। তবে সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য কিছু আসনে প্রতিবাদ করে হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’ তিনি বলেন, ‘এবার সবাই মনে করছেন মনোনয়ন পেলেই পাস। কিন্তু কাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হয়ে আসতে পারবে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি বড় দল। মনোনয়ন ঘোষণার পর কিছু আসনে আপত্তি উঠতে পারে- এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এটা দলের প্রাথমিক তালিকা। চূড়ান্ত তালিকা নয়। প্রয়োজনে যেকোনো সময় তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘সংশোধনের সময় এখনো আছে। বিতর্কিত প্রার্থীদের নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে নিয়ম মেনে দলের স্থায়ী কমিটি ও পার্লামেন্টারি বোর্ড কিছু আসনে পরিবর্তন আনতে পারে।’

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রথমে ৩০০ আসনে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছিল। পরে চূড়ান্ত মনোনয়নে অর্ধশতাধিক আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়।  

বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ঘোষিত অনেক আসনে নব্য, হাইব্রিড, বিগত দিনে আওয়ামী সুবিধাভোগী, আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় এবং দীর্ঘদিন প্রবাস ছিলেন এমন অনেক নেতা মনোনয়ন পেয়েছেন। পক্ষান্তরে তালিকায় ত্যাগী, যোগ্য আর জনপ্রিয় নেতাদের নাম নেই। এই কারণেই ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। 

ঢাকার দুই আসন পরিবর্তনের ইঙ্গিত

ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকা-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে নবী উল্লাহ নবীকে। তাকে নিয়ে একদিকে যেমন বিতর্ক রয়েছে, তেমনি বয়সও ভাবাচ্ছে দলকে। এই আসনের প্রার্থী বদলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বা যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা-১২ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবকে। এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করছেন মনোনয়নবঞ্চিত একাংশের নেতারা। তবে জোটশরিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলেও আলোচনা আছে। 

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ 

সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তিনিও একজন সংস্কারপন্থি ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের ভাই বেলাল ইউ আহমেদের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন আনিসুল হক। এর প্রভাব খাটিয়ে ২০০৯ সালে তিনি তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আনিসুলকে বহিষ্কারও করা হয়। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় থেকে আওয়ামী লীগের আমলে ‘সার্ভিস’ দেওয়ার নানা রকম ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয়ে সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও এমপি নূর ন্নবী চৌধুরী শাওনের সঙ্গে তার বৈঠকের ছবি ভাইরাল হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, আনিসুল হকের বিরুদ্ধে তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ আইনে ২০১৮ সালে ১৯ জুলাই একটি মামলা হয়েছে। মামলার নম্বর ৮/১২৩। 

স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, গত ১৫ বছর আনিসুল হক ছিলেন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তার নামে কোনো মামলা হয়নি। তার হাত ধরে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে আওয়ামী লীগের পুনবার্সন হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে চাঁদপুর-৪ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের আজীবন সদস্য লায়ন হারুনুর রশিদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ওই আসনের সর্বস্তরের জনগণ। জনগণের পক্ষে লিখিতভাবে এ দাবি জানিয়েছেন গুপ্টি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। 

চলছে নবীন-প্রবীণের লড়াই 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান। তিনি ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন অসুস্থ লোক। প্রায় ১৭ বছর ধরে তিনি কানাডায় বসবাস করছেন। রাজনীতিতে তার হঠাৎ এমন প্রত্যাবর্তনে নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এলাকার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ৫ আগস্টের পর দেশে ফেরেন মুশফিকুর রহমান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ আলমের কাছে পরাজয়ের পর তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যান। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে আঁতাত করে তিনি মনোনয়নপত্রে ইচ্ছাকৃত ভুল করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বলেও আলোচনা আছে। 

নেতা-কর্মীরা বলছেন, মুশফিকুর রহমান কারও সাহায্য ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। গত ১৫ বছর দলের দুর্দিনে নেতা-কর্মীরা তাকে কাছে পাননি। এই আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমদ ভূঁইয়ার পক্ষে নেতা-কর্মীরা প্রতিদিনই কর্মসূচি পালন করছেন। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীকে মাগুরা-২ আসনে প্রার্থী করায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামালের সমর্থকরা তাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। তারা প্রায় দিনই বিক্ষোভ মিছিল করছেন। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন কাজী কামাল। এই আসনের ৫০১ জন নেতা-কর্মী নিতাই রায় চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিলের দাবি লিখিতভাবে জানিয়েছেন হাইকমান্ডের কাছে। 

মোহাম্মদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাচ্চু বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন এই নেতার মনোনয়ন বহাল রাখলে আসন হাতছাড়া হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ও তাকে ভোট দেবে কি না সন্দেহ রয়েছে।’ 

কুষ্টিয়া-৪ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমির বয়স ৮০ বছরের বেশি। এই আসনে তরুণ প্রজন্ম আর নারী ভোটারদের কাছে টানতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী। এখানে মনোনয়ন পরিবর্তন না এলে অঘটন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন খোকসা উপজেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। 

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে এস এম ওয়াবদুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছে স্থানীয় বিএনপির বড় একটি অংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ‘বহিরাগত’ প্রার্থী হিসেবে বাসাইলবাসী নাসিরকে মানতে নারাজ অধিকাংশ স্থানীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটার। ফলে নাসিরের পরিবর্তে সাবেক মন্ত্রী লুৎফর রহমান আজাদ অথবা নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামকে চূড়ান্ত প্রার্থী করার দাবি জানাচ্ছেন তারা। 

নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা উপজেলা) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আবু তাহের তালুকদারের নৈতিক চরিত্রের অধঃপতনের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অসন্তোষ বাড়ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ২০০১ সালে জোট সরকারের শুরুতেই নেত্রকোনা জেলা শহরে ‘আইটিসিএল’ লুট করার অপরাধে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাঁঠাল প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি। এ ছাড়া আবু তাহের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন কমিটিতে আওয়ামী সহযোগী ও তার দোসরদের পুনর্বাসন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জেলায় জেলায় বাড়ছে দ্বন্দ্ব 

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন ভিপি আইনুল হক। গত বছর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতিকে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব নিতে সহযোগিতার কারণে ৩ মাসের জন্য দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। এ ছাড়া দুঃসময়ের নেতাদের বিবেচনা না করে তাকে প্রার্থী করায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, আইনুল হককে মনোনয়ন দেওয়ায় এই আসন হারাতে পারে বিএনপি। 

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিলালিকে মানতে পারছেন না তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন ‘আমরা বিএনপির পরিবার’র উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, হিলালির সঙ্গে দুলালের শত্রুতা বহু পুরোনো। কেউ কারও পক্ষে প্রচারে নামবেন না। ফলে তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

চাঁদপুর-২ আসনে জালাল উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন একাংশের নেতা-কর্মীরা। তারা ক্লিন ইমেজের ড্যাব নেতা ডা. সরকার শামীমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-২, ৪, ১২, ১৩ ও ১৬, ফেনী-২, গাইবান্ধা-৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, দিনাজপুর-১, ২ ও ৪; নরসিংদী-৪, সাতক্ষীরা-২ ও ৩; নাটোর-১; জামালপুর-২; টাঙ্গাইল-১, নীলফামারী-৪; কুষ্টিয়া ২ ও ৩; বান্দরবান, শেরপুর-২, হবিগঞ্জ-৪, জয়পুরহাট-১ ও ২; ময়মনসিংহ-৩,৬, ৯ ও ১১, মুন্সীগঞ্জ–১; কিশোরগঞ্জ-৫; কুমিল্লা-৫, ৬ ও ১০; কুড়িগ্রাম–১ ও ৩; রাজশাহী-১, ৩ ও ৪; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫; রাজবাড়ী–২; নওগাঁ-১, ৩ ও ৪; পাবনা-৪; এবং মৌলভীবাজার-২- এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এর মধ্যে কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিএনপির ভেতরে আলোচনা আছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার