যে কারণে মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত আজহারীর
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী, ডেমরা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। জামায়াতের মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ড. মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। ঘোষণার পর থেকেই আসনটি ঘিরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা তৈরি হয়।
জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব জানান, আজহারীকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও তিনি ব্যক্তিগত কারণ এবং দাওয়াতি কাজে মনোযোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তে দলীয় মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও তরুণদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ভোটের মাঠে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারত।
ঢাকা-৫ আসনটি ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা পুনর্বিবেচনায় বসছেন বলে জানা গেছে। তবে এ আসন থেকে কামাল হোসেন নামের একজন প্রার্থী জামায়াতের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
এদিকে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী চলতি বছর উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠেয় তাঁর বিভাগীয় সব তাফসির মাহফিল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।ওই পোস্টে তিনি লেখেন, "উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিত আমার এ বছরের বিভাগীয় সকল তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে মিজানুর রহমান আজহারী মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, বর্তমানে সারা দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি আমেজ তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাষ্যমতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা।তিনি মনে করেন, আসন্ন নির্বাচন জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইতোমধ্যে প্রায় সকল রাজনৈতিক দল খুব জোরেশোরে তাদের সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা কর্মসূচি শুরু করেছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাদের মহাসমাবেশগুলো অনুষ্ঠিত হবে, যার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে।
এই ইসলামী বক্তা বলেন, "এমতাবস্থায়, আমাদের পক্ষ থেকে নতুন কোনো প্রোগ্রামের আয়োজন তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।" যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা ছাড়া একেকটা তাফসির মাহফিলের বিশাল জনস্রোত সামলানো মুশকিলের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, তাই জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে তাঁকে ঘিরে এ ধরনের বড় তাফসির প্রোগ্রাম আয়োজন যুক্তিযুক্ত হবে না বলে তিনি মনে করছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন-পরবর্তী স্থিতিশীল পরিবেশে ঐতিহাসিক প্রোগ্রামগুলোতে তারা আবারও মিলিত হবেন ইনশাআল্লাহ।তাফসির মাহফিল স্থগিতের আরেকটি কারণ হিসেবে তিনি তাঁর সদ্য প্রতিষ্ঠিত হাসানাহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে অধিক সম্পৃক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। শিক্ষাখাতে জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে এ বছরই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য গড়ে তোলা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করতে হচ্ছে।