Logo
Logo
×

রাজনীতি

ঢাকায় বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৭ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

ঢাকায় বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৭ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা

প্রার্থী ঘোষণা না করা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ৭টি আসন যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দলের প্রার্থীদের ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। একথা জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। যদিও এসব আসনের প্রতিটিতে বিএনপির একাধিক নেতা জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, জোটের নেতারা বলছেন, ঢাকার ফাঁকা আসনগুলোতে তারাই অগ্রাধিকার পাবেন।

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন। তাই ভোটের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে বিএনপি ২৩৭ প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঢাকার ৭টি গুরুত্বপূর্ণ আসন এখনো ফাঁকা।

প্রার্থীর সম্ভাব্য তালিকায় নাম না থাকলেও ঢাকার কয়েকটি আসনে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন বিএনপির সম্ভাব্য শরিকরা।

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থকে ঢাকা-১৭ আসন ছাড় দিতে পারে বিএনপি। ঢাকা-১৩ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তারা মনে করেন, ঢাকায় ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে বিএনপির সমমনা দলগুলো অগ্রাধিকারে থাকবে।

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘জোটের প্রধান নেতৃত্ব বিএনপি থেকে বাকি যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের সিটগুলো কনফার্ম করা হয়েছে। বাকি সিটগুলো নিয়ে আমরা এখনও আলোচনায় আছি। রাজনীতি ও রাজনীতির বাইরে নিজের কর্মদক্ষতা কতটা দেখিয়েছেন, তিনি জনগণকে কতটুকু দিতে পারবেন তার ভিত্তিতে যদি আপনাকে একটি পজিশন দেওয়া হয়, তাহলে আপনার বয়স কত—এটা একেবারেই বিবেচ্য বিষয় হওয়ার কথা না।’

ঢাকা-১০ আসনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভোটার হওয়ার আবেদনের পর জোর গুঞ্জন, তিনি বিএনপি জোটের হয়ে এ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। কিন্তু এ আসনে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।

নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, ‘সব কথার শেষ কথা হচ্ছে, যে দল যে সিদ্ধান্তটা নেবে, সেটাই আমি মনে করি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দল এই এলাকার বাইরে অন্য কাউকে চিন্তা করবে—এটা আমি মনে করি না। কারণ এখানকার নেতাকর্মীরা যারা আছেন, তাদের একটা সেন্টিমেন্টের ব্যাপার আছে, আবেগের জায়গা আছে। তাদের যে প্রত্যাশা—তাদের মধ্য দিয়ে, তাদের সঙ্গে যারা ছিলেন নেতা, তাদের মধ্য থেকেই যেন মনোনয়নটা আসে।’

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানান, শিগগিরই খালি আসনগুলোতে মনোনয়ন ঘোষণা হবে। তবে এতে অগ্রাধিকার পাবেন জোটের শরিকরা।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথমত বিবেচ্য হলো—যে এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা কার বেশি। দ্বিতীয়টা হলো দলের জন্য ত্যাগ কার বেশি। কে ১৬ বছরের আন্দোলনে ভুগেছেন, জেলে গেছেন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দলের প্রতি অবদান সেটাও বিচার করা হবে। স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতাও বিচার করা হবে।’

ঢাকা-৭ আসন হেফাজত নেতা মামুনুল হককে দেওয়া হতে পারে—এমন গুঞ্জন থাকলেও ঢাকা-৯, ১২, ১৮ ও ২০ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার