৩০ জামায়াত নেতার বিএনপিতে যোগদান নিয়ে পালটাপালটি বক্তব্য
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম
ভোলার বোরহানউদ্দিনে বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির হাজারও নেতাকর্মীর অনুষ্ঠানে জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেন। তবে উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারির দাবি তারা তাদের দলের কেউ ছিলেন না। দুই দলের এমন পালটাপালটি বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের করতালি ও বাদ্য বাজিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে ভোলা-২ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে জামায়াত নেতারা যোগ দেন। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকেও তাদের ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়।
ওই নেতাদের মধ্যে পৌর জামায়াতে ইসলামীর জয়েন্ট সেক্রেটারি বক্তব্য রেখে বিএনপিতে যোগদানের বিষয়টি জানান দেন।
অপরদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. মাকসুদুর রহমান ও সেক্রেটারি মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের বিষয় সঠিক নয়। জামায়াতের গঠনতন্ত্রে জয়েন্ট সেক্রেটারির কোনো পদ নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলম জানান, পৌর জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি গয়নাঘাট মসজিদের ইমাম মাওলানা মোতাহার হোসেনের নেতৃত্বে ৩০ জন জামায়াত নেতাকর্মী সাবেক এমপি ও আগামী নির্বাচনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগদান করেন।
৩০ জনের মধ্যে সিনিয়র নেতারা হচ্ছেন- মাওলানা মো. শাহেআলম, মাওলানা মো. কবির, মাওলানা মো. নূরে আলম, মো. ইউছফ হাওলাদার, মো. আকবর হোসেন, মো. হাসেম।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগ দেওয়া ও এর বিরোধিতা করা নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। প্রকৃত সত্য কী তা নিয়েও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
বিএনপি নেতারা জানান, জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই দলের দৈন্যটা তুলে ধরেছেন। তাদের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে যোগ দিয়েছেন। এটা সবাই দেখেছেন।