Logo
Logo
×

রাজনীতি

বিএনপির খালি আসন ঘিরে হিসাব-নিকাশ কষছেন জোটসঙ্গীরা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ পিএম

বিএনপির খালি আসন ঘিরে হিসাব-নিকাশ কষছেন জোটসঙ্গীরা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করেছে শরীক দলগুলো। আন্দোলনের কেন্দ্রে থাকা বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের নেতাদেরও।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীক দলগুলোকে ভুলে যায়নি বিএনপি। ৩০০ আসনের মধ্যে ৬৩ আসনে শরীক দলের নেতাদের জন্য কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি। এরপর থেকেই শরিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে নানামুখী সমীকরণ। খালি থাকা ৬৪টি আসন ঘিরে হিসাব-নিকাশ কষছেন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নেতারা। 

জোটসঙ্গীরা বলছেন, বিএনপি যেন যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত চূড়ান্ত প্রার্থিতার তালিকা প্রকাশ করার দাবি তাদের। 

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতাই হবে প্রার্থী চূড়ান্তের ভিত্তি। শরিকদের জন্য ৪০ থেকে ৪৫টি আসন ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। অধিকাংশ আসনেই আমরা জোটসঙ্গীদের সুযোগ দিতে চাই। সংখ্যাটি ৪০ থেকে ৪৫ এর মধ্যেই থাকবে। আশা করি, নির্বাচনের মাঠে যোগ্যদের প্রার্থী দিতে পারব। 

জোট নেতারা বলছেন, ইতোমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাই আর কালক্ষেপণ না করে বিএনপি বাকি আসনগুলোর ব্যাপারে সুরাহা করে দ্রুত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বলে আশা করি। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। আমি বিশ্বাস করে, আলাপ-আলোচনা করে একটা বোঝাপড়ার জায়গায় আসতে পারব।

জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, বেশ কিছু সিট জোটের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিছু সিট নিয়ে এখনও আলোচনা বাকি আছে। পুরো আলোচনা শেষ হওয়ার পর দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট বিপুলভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে প্রত্যাশা জোটের নেতাদের।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার