তারেক রহমানের কাছে ছুটে গেলেন ইশরাক
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
নিবন্ধনের দাবিতে আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ নেতা তারেক রহমান টানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তাকে দেখতে ছুটে যান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
‘আমজনতার দল’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় তারেক রহমান আমরণ অনশনে বসেছেন। এখন পর্যন্ত তার অনশন চলছে ১২৫ ঘণ্টা ধরে। টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার শরীরে চারটি স্যালাইন পুশ করা হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ইসির সামনে দেখা যায়, ‘১২৫ ঘণ্টা অনশনের’ কার্ড হাতে নিয়ে ইসির গেটের সামনে শুয়ে আছেন তারেক রহমান। টানা তিনদিন তিনি একই পোশাকে রয়েছেন। শরীরে স্যালাইন পুশ করা হয়েছে এবং তার রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গেছে। এমনকি তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেও পারছেন না, ইশারা-ইঙ্গিতে সব বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
আমজনতার দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংগ্রামী তরুণ নেতা তারেক রহমান বর্তমানে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এই কঠিন মুহূর্তে আমজনতার দল দেশবাসীর নিকট তার দ্রুত সুস্থতার জন্য আন্তরিক দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছে।’
দলটি আরও জানায়, ‘এরই মধ্যে ১২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে তারেক রহমানের আমরণ অনশন কর্মসূচির। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এখনো টনক নড়েনি। গণদাবি ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নীরব নির্বাচন কমিশনের এই উদাসীনতা জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।’
দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তারেক রহমান শুধু আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক নন, তিনি জনগণের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক ন্যায্যতা ও রাষ্ট্রে সমতার প্রতীক। আজ তিনি জীবন বাজি রেখে লড়ছেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্বিকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান কেবল দলের নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক সংগ্রামী তরুণ নেতার প্রতীক। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৮-এর কোটা আন্দোলন এবং দেশের নানা সংকটময় মুহূর্তে তিনি সর্বদা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রভাগে ছিলেন।’
বর্তমানে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রধান গেটে দলের নিবন্ধন দাবিতে আমরণ অনশন চালাচ্ছেন। আমজনতার দল এই আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই হিসেবে দেখছে।