কথা রাখলেন বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বিএনপির ছয় মনোননয়নপ্রত্যাশী একজোট হয়েছেন। গত ২৪ অক্টোবর সকালে তাঁরা আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, যে ছয়জন জোটবদ্ধ হয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে অন্যরা ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
ওই ছয় মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। এ অবস্থায় বাকি পাঁচ প্রার্থী তাঁদের কথা রেখে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ শুরু করেছেন।
এমনকি মনোনয়ন ঘোষণার দিন সঙ্গে না থাকা খন্দকার মো. বিল্লাল হোসেনও তার অনুসারীদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন মুশফিকুরের পক্ষে।
এক হওয়া ছয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা নাসির উদ্দিন হাজারী, বিএনপি নেতা নাজমুল হোসেন খন্দকার, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন এবং দলের অপর দুই নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস ও আবুল মুনসুর মিশন। স্টেশন এলাকায় তারা নিজেদের মনোনয়নপ্রত্যাশী উল্লেখ করে ঐক্যবদ্ধ হওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে মুশফিকুর রহমান ও নাসির উদ্দিন হাজারী ছিলেন জোরালো দাবিদার এবং তারা এলাকায় নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন।
নাজমুল হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস ও আবুল মুনসুর মূলত মুশফিকুর রহমানের অনুসারী। মুশফিকুরের সভা-সমাবেশ আয়োজনের পেছনে তাঁরাই কাজ করতেন। ওই তিনজন ছাড়াও খন্দকার মো. বিল্লাল হোসেন বিএনপির বিভিন্ন পদে আসীন হওয়ার পর মুশফিকুরের প্রচারণায় বেশ জোর পান। এই পক্ষে খন্দকার বিল্লাল হোসেন থাকলেও সবশেষ আয়োজনে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও মুশফিকুরের হয়ে কাজ শুরু করেছেন। মোসলেম উদ্দিন মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরো আগেই ঘোষণা দিলেও এলাকায তেমন নিজস্ব বলয় ছিল না।
বিএনপি ঘোষিত প্রাথমিক তালিকায় মুশফিকুরের নাম ঘোষণার পর অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের কথামতো কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার মুশফিকুরের গণসংযোগ, ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ, ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণীতে অংশ নেন তারা। গতকাল শুক্রবার বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আয়োজনেও তাঁদের দেখা গেছে।
এ আসনটিতে আরেক শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভূঁইয়া। কসবা ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি তাঁর হাত ধরেই হয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বরিশাল গ্রামের বাসিন্দা কবির আহমেদকে বহিরাগত তকমা দিয়ে অন্য প্রার্থীরা তাকে ‘প্রত্যাখ্যান’ করেন। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে কবির আহমেদ জানান, তার জন্ম বরিশাল গ্রামে হলেও আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামে বাড়ি ও জমি রয়েছে তাঁর।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মুনসুর মিশন বলেন, ‘দলের মনোনয়ন পাওয়া মুশফিকুর রহমানের পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ। যাঁরা প্রার্থী ছিলেন, তাঁরা আগেই বলে রাখেন, ছয়জনের মধ্য থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তারা ওই প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। সে অনুযায়ী সবাই কাজ করে যাচ্ছেন। মুশফিকুরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির মাধ্যমে এ আসনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।’