Logo
Logo
×

রাজনীতি

জামায়াতের আহ্বানে সাড়া দেবে না বিএনপি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম

জামায়াতের আহ্বানে সাড়া দেবে না বিএনপি

গণভোট নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনার বসার আহ্বানে সাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার প্রস্তাবকে এক ধরনের তামাশা বলে মনে করছে দলটি।

তাদের ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনার জন্য দলগুলোকে ডাকতে পারে। ডাকলে তাতে সাড়া দিয়ে বিএনপি তাদের অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। বিএনপি মহাসচিব তখন দলের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানোর কথা বলেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নেতারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, জামায়াত তো সরকার না। 

ফলে রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় নিয়ে তারা বিএনপিকে ডাকতে পারে না। ব্যক্তিগত কোনো দাওয়াতে কিংবা দুই দলের মধ্যকার কোনো বিষয় হলে সেক্ষেত্রে ডাকতে পারে। সুতরাং জামায়াতের আহ্বানকে সংকট নিরসনের সঠিক পন্থা বলে মনে করে না বিএনপি। তাই জামায়াতের আহ্বানে সাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে।

বৈঠকে আরও বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় দিলাম। সরকার কি এমনটা বলতে পারে? এটি কতটা যৌক্তিক, তা জনগণ বোঝে।

ওদিকে বৈঠকে নেতারা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আগামী দিনগুলোতে পথ চলবে বিএনপি। সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের দূরত্ব সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না দলটি। এর অংশ হিসেবে শালীনতা বজায় রেখে সরকার সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা জানিয়েও দেয়া হয়েছে। 

বৈঠক সূত্র জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন- সমস্যার সৃষ্টি করেছে সরকার এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মিলে। কারণ সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে দলগুলোর ঐকমত্য স্বাক্ষরিত সনদের মিল নেই। বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (দ্বিমত) সনদে লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা রাখা হয়নি। 

ফলে সরকারের পক্ষ থেকে দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার প্রস্তাবকে এক ধরনের তামাশা বলে মনে করছে বিএনপি। ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ ঐকমত্য হওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের আইনানুগ বাস্তবায়ন চায় বিএনপি। একইসঙ্গে যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানও চায়। এ লক্ষ্যে আন্তরিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি। 

সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় জামায়াতের মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে বিএনপি কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছে না  বলে বৈঠকে আলোচনা হয়। বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে দেশে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক, বিএনপি সেটা চায় না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার