হেভিওয়েট-হেভিওয়েটের লড়াই, কারা পাচ্ছেন ধানের শীষ?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে আলোচনায় থাকা ঝিনাইদহ-৪ ও বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
গত ৩ নভেম্বর বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঝিনাইদহ-৪ ও বরিশাল-৩ আসনের প্রার্থীর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে, পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।
এ আসনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এখানে ফিরোজের জনপ্রিয়তা অনেক। এ আসনে ‘বহিরাগত’ কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে তাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঝিনাইদহ-১ আসনে মনোয়নপ্রত্যাশী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আসাদুজ্জামান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পদত্যাগ করে নির্বাচন করবেন।
বরিশাল-৩ আসনে মনোনয়ন হেভিওয়েট প্রার্থী চান স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, মুলাদী উপজেলার সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার খান।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ-সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী রুমি, জেলার সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল ও যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ। এর মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে নাছির উদ্দিন চৌধুরী এগিয়ে বলে জানা গেছে।
পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন। তিনিও ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। বাকি ফাঁকা আসনেও রয়েছে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী। বিএনপির দুর্দিনে তাদের অনেক ত্যাগ রয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জানান, দ্রুতই তাদের আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা চান।