রাজধানীর আশপাশে ফাঁকা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আসন, মাঠে বিএনপির ত্যাগীরা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মোট ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বাকি ৬৩টি আসনের প্রার্থী নিয়ে।
এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বাইরের কয়েকটি আসন। ওই ফাঁকা আসনে বিএনপির ত্যাগী নেতারা মাঠে রয়েছেন।
রাজধানীর আশপাশে ফাঁকা (সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা হয়নি) আসনগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো গাজীপুর-১ আসন। এই আসনে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলের অবস্থান অনেক ভালো। গত সোমবার বিএনপির প্রথম ধাপের মনোনয়নে এই আসনের প্রার্থী ঘোষণা না করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বাবুলের এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মামলা রয়েছে ৬১টি। একাধিকবার কারাবরণ করেছেন, গুলিবিদ্ধও হন। দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সব সময় তাকে পাশে পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমলে যারা এলাকায় থাকতে পারেনি, অনেকে কারাগারে ছিলেন-একমাত্র বাবুলই সবার খোঁজখবর নিয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, ক্লিন ইমেজের নেতা। ত্যাগের মূল্যায়ন করে তাকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত। কারণ কোনো বিতর্কিত নেতাকে এই আসনে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ চায় না।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ-সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সদস্য সচিব আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। এর মধ্যে গিয়াসউদ্দিন এ আসনে বিএনপির মনোনয়নে একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে গুঞ্জন রয়েছে এ আসনটি মিত্রদের ছাড়তে পারে বিএনপি।