নুর, গোলাম মওলা রনি নাকি হাসান মামুন কে হচ্ছেন প্রার্থী?
জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আওয়ামী লীগ শাসন আমলের ষোলো বছরেও এতটা নিস্তব্ধ হয়নি পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফ্যাসিস্ট সরকারের দাপট আর পুলিশ-প্রশাসনের রক্তচক্ষু কখনো দমাতে পারেনি তাদের। কিন্তু কেন্দ্রের এক সিদ্ধান্তে দমে গেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
হঠাৎ করেই উপকূলীয় এ জনপদের রাজনীতিতে যেন সুনসান নীরবতা। রাগ, ক্ষোভ আর অভিমানে নেতাকর্মীরা মনমরা হয়ে ঘরমুখি হচ্ছেন।
মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। সেখানে এ আসনটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এতেই দশমিনা-গলাচিপার রাজনীতির আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়।
এই আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হাসান আল মামুন। যিনি একাদশ নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে শেষ পর্যন্ত পাননি। ওই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে ভোট করেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি এবারও এই আসন থেকে ভোট করতে চান। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হকও নুর এই আসন থেকে ভোট করতে চান।
জামায়াতে ইসলামী থেকে এ আসনে অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ-আলমকে করা হয়েছে প্রার্থী। একইভাবে হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু বকর সিদ্দীক নামে একজনকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনিকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। সে সময় দশমিনা-গলাচিপায় নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। দলের বাইরে কাউকে মনোনয়ন দিলে ফের পদত্যাগের হিড়িক পড়বে বলে দাবি স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
তিনি বলেন, হাসান মামুনের বাইরে মনোনয়ন দেওয়া হলে তা আমরা মেনে নেব না। তিনি দাবি করেন, হাসান মামুন ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে জামায়াত প্রার্থী নিশ্চিত এমপি নির্বাচিত হবেন।