বিএনপির মনোনয়ন: বিক্ষুব্ধদের বিষয়ে যা ভাবছেন নেতারা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ এএম
মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোভকে অনুপ্রবেশকারীদের উসকানি বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে যারা মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন, ঘোষিত প্রার্থীর তালিকায় সংশোধনী আসতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাকর্মীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন—দুঃসময়ের কর্মীরা অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
দলীয় নেতারা বলছেন, তিন মাস ধরে ধারাবাহিক সভা-সমাবেশ ও পর্যালোচনার পর প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই অনুপ্রবেশকারী ছাড়া কারও বিক্ষোভ করার কথা নয়।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯৯ ভাগ আসনেই প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। কারণ সবাই চায় ধানের শীষের বিজয়। এর বাইরে যদি কোথাও অস্থিতিশীলতা হয়, তা অনুপ্রবেশকারীদের কাজ। বিএনপির ভেতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টির এ প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না।’
নেতাদের দাবি, নবীন ও প্রবীণদের সমন্বয়ে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘বিক্ষোভের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন। যেখানে মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, সেখানে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নবীন ও প্রবীণদের ভারসাম্য রেখে সুচিন্তিতভাবে মনোনয়ন দিয়েছে।’
এদিকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখায় দলটির ভেতরেও প্রশংসা মিলছে।