Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘নির্বাচন হলেও মানুষ ভোট দিতে যাবে না’

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম

‘নির্বাচন হলেও মানুষ ভোট দিতে যাবে না’

সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, বিএনপি তাদের মনোনয়নের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে। প্রাথমিকভাবে দলটি ২৩৭ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই তালিকা নিয়ে আমি একটি ভিডিও তৈরি করেছিলাম। সেখানে আমি কিছু প্রশ্ন তুলেছিলাম—কেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের যিনি এমপি হবেন, তিনি নিয়মিতভাবে ঢাকাতেই বসবাস করেন? আর বিএনপির এই মনোনয়ন প্রক্রিয়া কেমন হলো—এই মনোনয়ন দিয়ে কি তারা সত্যিই ক্ষমতায় যেতে পারবে? এসব বিষয় নিয়েই আমি আলোচনা করেছিলাম।

সেখানে এক দর্শক মন্তব্য করেছেন—‘নির্বাচন হলেও মানুষ ভোট দিতে যাবে না।’ সেখান থেকে কয়েকটি মন্তব্য নিয়ে আমি এই ভিডিওটি তৈরি করেছি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন।

মাসুদ কামাল বলেন, প্রথম মন্তব্যটি করেন কাজী মোহাম্মদ আলমগীর।

তিনি লেখেন, মাসুদ ভাই, চমৎকার আলোচনা করেছেন। আপনার বিশ্লেষণের সঙ্গে অনেকাংশে একমত হয়েও বলতে চাই—দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাচনের বাইরে থাকা একটি দলকে কতটা হিসাব-নিকেশ করে প্রার্থী বাছাই করতে হচ্ছে, তা আমরা বাইরে থেকে বুঝতে পারছি না।

এর জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, ‘ভাই আলমগীর সাহেব, আপনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। এটা সত্যিই একটি কঠিন কাজ।

যে দলটি এতদিন ধরে নির্বাচনের বাইরে ছিল, তারা কাকে মনোনয়ন দেবে আর কাকে বাদ দেবে—সেটা নির্ধারণ করা সহজ নয়। তবে যত কঠিনই হোক না কেন, আমি তাদের কষ্টের চেয়ে বেশি ভাবছি সাধারণ মানুষের কথা। আমরা যারা ভোটার, যারা নাগরিক—তারা এই মনোনয়ন প্রক্রিয়া থেকে কী পাচ্ছি, সেটাই আমার মূল চিন্তা। আমি বিএনপির নেতাদের অবস্থান নয় বরং সাধারণ মানুষের স্বার্থ নিয়েই ভাবি। আমার বিশ্লেষণের কেন্দ্রবিন্দু সবসময় সাধারণ মানুষই।’

দর্শকদের মন্তব্যের ধারাবাহিকতায় মুজাম্মেল হক লেখেন, প্রিয় মাসুদ কামাল ভাই, বিএনপিকে নিয়ে আপনি খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। তবে আপনি কতটা বুঝতে পেরেছেন জানি না কিন্তু তারেক রহমান ঠিকই বুঝে গেছেন—ইউনূসের আন্ডারে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এসব মনোনয়ন শুধু ‘আই ওয়াশ’। যদি সত্যিই ইউনূসের অধীনে নির্বাচন হতো, তাহলে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসতেন।’

এর জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, মুজাম্মেল ভাই, আপনার সঙ্গে আমি একমত হতে পারলাম না। আমার মনে হয়, যদি তিনি সত্যিই বুঝে থাকেন যে নির্বাচন হবে না, তাহলে এখন মনোনয়ন দিলেন কেন? আগে তো এমনভাবে মনোনয়ন হয়নি। তবু আপনার মতামত আপনার জায়গায় থাকুক—অন্যরা নিশ্চয়ই এ নিয়ে নিজেদের মতো করে ভাববেন।

আরেক মন্তব্যে নাজমুল সুমন লেখেন, রুমিন ফারহানার জায়গা এখনো হয়নি। বিএনপির নেতিবাচক ইমেজটা রুমিন ফারহানা যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে অনেকাংশে বদলে দিতে পেরেছিলেন। এই সময়ে রুমিনের মতো নেত্রীদের মনোনয়ন দেওয়া আরো বুদ্ধিমানের কাজ হতো।

ইউরো ফুড লেখেন, এমপিদের কাজ কী? এটা নিয়ে কথা বলুন। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার আওয়াজ তুলুন। এমপিরা ঢাকায় থাকার পক্ষে বলতে পারেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সাংবাদিক ও চাটুকার দলীয় বুদ্ধিজীবীরাই দায়ী— আপনার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, সব ব্যাপারে আপনার সরল আলোচনা জাতিকে আরো ডুবাবে।

আজিজুল মিয়া লেখেন, যদি এমপিরা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তাহলে বিএনপির ক্ষমতায় আসা দুষ্কর হয়ে যাবে—কারণ বিএনপির অনেক সম্ভাব্য এমপি ঢাকায় থাকেন। তবু আমি মনে করি, এমপিদের নিজেদের এলাকায় থাকা উচিত।

আল-রেসকিউ এজেন্সি লেখেন, সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে সংসদ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট আয়োজন করার কোনো এখতিয়ার রাখে না— এটি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহাদিন মালিকও বলেছেন। তাহলে বিএনপি কেন ইউনূস সরকারের এই ধরনের প্রস্তাবে সমর্থন দিচ্ছে? কেন বিএনপি স্পষ্টভাবে বলছে না যে অন্তর্বর্তী সরকারের ওই ধরনের পদক্ষেপ সংবিধানবিরুদ্ধ?

মোহাম্মদ সেলিম লেখেন, আপনি কি বিশ্বাস করেন নির্বাচন হবে? আমি মনে করি, নির্বাচন হলেও মানুষ ভোট দিতে যাবে না। জামায়াত, বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়নি। তাদের অনেক দলই নির্বাচন কমিশনে অংশ নেয়নি, ঐক্য গঠিত হয়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার