রাজনীতি এখন ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে: রুমিন ফারহানা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২২ পিএম
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, রাজনীতি এখন ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে। তিনি বলেন, একজন শিক্ষিত নারী, যার একটি সম্মানজনক পেশা আছে এবং যিনি একটি ভালো পরিবারের সদস্য, তিনি এই নোংরামির মধ্যে নামবেন কেন? রাজনীতি এখন একেবারেই ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার আগমন, সবার হাতে মোবাইল ফোন থাকা এবং ‘বট আইডি’ ও ‘এআই’ আসার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
‘একটা ভদ্র ফ্যামিলির এডুকেটেড মেয়ে হু হ্যাজ অ্যা ভেরি ব্রাইট ফিউচারড এহেড, উনি কেন পলিটিক্সে আসবেন?’ — প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সবদিক বিবেচনায় কেউ রাজনীতিতে আসলেও দলগুলো অনেক সময় তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে না। বিএনপি এবার যে ২৩৭ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ১০ জন নারী। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব কমছে, এমনকি অনেক দলই নারী নেতৃত্বে ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ করতে পারেনি।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে নারী নেতৃত্ব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, বড় রাজনৈতিক দলে যোগ্য নারী নেতৃত্বের অভাব নেই।
তিনি বলেন, ‘হয়তো পুরুষের তুলনায় সংখ্যা কম, কিন্তু এত কম নয় যে মাত্র ৩ বা ৪ শতাংশ নমিনেশন তারা পাবে। ১০০ এর মধ্যে তিন বা চারজন, বাট দ্যাট ইজ টু লো একচুয়ালি।’
‘বড় দলগুলো ছোট দলগুলোকে একীভূত করে রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায় এবং এজন্যই জোটের বিরোধিতা, আরপিও সংশোধনের বিরোধিতার বিষয়টি উঠে এসেছে’— এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, যারা এবার জোটের প্রার্থী হবেন, তাদের যদি দলের নিবন্ধন থাকে, তবে নিজের দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। এই বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দুই দিকেরই যুক্তি রয়েছে।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, যদি কোনো দলের নিবন্ধন ও প্রতীক থাকে, তাহলে প্রশ্ন হলো— আপনি আপনার রাজনীতি করছেন না কেন? আপনি যদি অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে চান, তাহলে আপনার ছোট দল রাখার প্রয়োজন কী? এই প্রশ্নগুলো সরকারের তরফ থেকে এসেছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— শেষ মুহূর্তে যে আরপিও সংশোধন হলো, দীর্ঘদিন যারা বড় দলের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছেন, তাদের সংসদে যাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা থেকেই তারা জোট গঠন করেছে এবং বড় দলগুলোও দেখিয়েছে যে তাদের সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক দল আছে। তাই এই বিষয়ে উভয় পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে।