এক পরিবার থেকে দুজনকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ এএম
					আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনের মধ্যে ৪০টি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। আর বাকি ২৩টি আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকালে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর বিএনপির একাধিক নেতা জানান, এবার প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলা, সাংগঠনিক শক্তি ও গণগ্রহণযোগ্যতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিএনপি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—একই পরিবার থেকে দুজন প্রার্থী নির্বাচন করবেন না। আপনারা দেখেছেন, এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পরিবারের কোনো ছেলে-মেয়ে প্রার্থী হয়নি। আমরা চাই দলটি আরও গণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হোক।’
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার আগে তিনটি পৃথক জরিপের ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত এক মাস ধরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সারাদেশের ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন।
জরিপ ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২৬০টি আসনের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তিন ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা শেষে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। বাকি ২৩টি আসন নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
ড. খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘যেসব আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেই সব আসনে বিএনপির প্রার্থীও আসবে, আবার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের থেকেও আসবে। এগুলো পরে সমন্বয় করা হবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির আসন সমন্বয় হলে বাকি আসনগুলোর তালিকায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।