Logo
Logo
×

রাজনীতি

নীরব থেকে সফল মুক্তাদির, বঞ্চিত আরিফ

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম

নীরব থেকে সফল মুক্তাদির, বঞ্চিত আরিফ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক মেয়র ও বিএনপির জনপ্রিয় মুখ আরিফুল হক চৌধুরী। বেশ কয়েকবার ডাউন দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছিলেন তিনি। দলের গ্রিন সিগন্যালের কথাও উঠেছিল আরিফ অনুসারীদের মুখে।

এসময় নীরব ছিলেন অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। শোডাউন ও আনিুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না দিয়েই নীরবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার এই নীরবতাই সফলতায় পরিণত হয়েছে। দলও ভরসা রেখেছে তার উপর। সিলেট-১ আসনে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে চূড়ান্ত করেছে দল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় তিনি সিলেটের আরও তিনটি আসনে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন। তবে সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আসন। দেশের রাজনীতিতে একটি প্রবাদ রয়েছে—সিলেট-১ আসন যার, সরকার তার। অর্থাৎ সিলেট-১ আসনে যে দল নির্বাচিত হবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে। যে কারণে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এই আসনটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরেক উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আরিফুল হক কয়েক দফায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। স্থানীয় পর্যায়ে সমর্থন জোগাড়েও ছিলেন বেশ সক্রিয়। তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন, নগরীর তৃণমূল বিএনপি ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আরিফুলের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।

তবে শেষ পর্যন্ত দল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ওপরই আস্থা রেখেছে দল। মুক্তাদির ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তিনি ওই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে পরাজিত হন। তবে ভোটে কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সে সময় ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন মুক্তাদির।

গতবছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পাওয়ায় সিলেট-১ আসনে বিএনপির সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীও এই আসনে থাকলেও বরাবরই মূল আলোচনায় থাকেন বিএনপি প্রার্থীরা। এজন্যই এই আসন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের দুই উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী সরব ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে দুজনেই ছিলেন বেশ তৎপর। তবে আরিফ একাধিকবার দলের গ্রিন সিগন্যালের কথা বললেও নীরব ছিলেন মুক্তাদির।

এ বিষয়ে সিলেট-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমি দলের সিদ্ধান্ত নিয়েই আগে থেকে কাজ শুরু করেছি। আজ দল প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

সিলেটবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও নির্বাচনের লক্ষ্যে দল যাদের মনোনীত করেছে, সবাই তাদের হয়ে কাজ করবেন। বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল। দলের যে কোনো প্রয়োজনে বিএনপি সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার