Logo
Logo
×

রাজনীতি

রংপুরের ৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ১৮, কোন্দলের আশঙ্কা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

রংপুরের ৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ১৮, কোন্দলের আশঙ্কা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রংপুরের ছয়টি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা প্রচারে নেমেছেন। একটি আসনে বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচনি মাঠে থাকায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ কিছুটা বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজনও তৈরি হচ্ছে। 

রংপুরের আসনগুলোয় বিএনপির ১৮ জন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় ও উৎকণ্ঠার মাঝেই তারা ব্যাপক অর্থব্যয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। বিএনপির একাধিক কর্মী জানান, এমন অবস্থায় দলীয় মনোনয়ন যারা পাবেন না, তারা হয়তো নির্বাচনকালে নিষ্ক্রিয় থাকতে পারেন। শুধু তাই নয়, দলীয় প্রার্থীকে অযোগ্য প্রমাণের উদ্দেশ্যে তারা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষেও কাজ করতে পারেন। দলের জন্য এটি বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। আগে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে এ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে যারা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা যথেষ্ট প্রভাবশালী। চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসবে বলে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন। এরপরও বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়লাভ করবেন বলে নেতাকর্মীরা আশাবাদী।

রংপুর-১ আসন: গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের ১-৮নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান মাবু ও বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্কার হোসেন সুজন। 

আরও পড়ুন
রংপুর-২ আসন: (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ) এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বদরগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য পরিতোষ চক্রবর্তী, বদরগঞ্জ পৌর কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ-সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, বদরগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক এবং পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল।

রংপুর-৩ আসন: রংপুর সদর ও সিটি করপোরেশনের ৯-৩৩নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ও রংপুর মহানগর কমিটির সদস্য রিটা রহমান, রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন এবং রংপুর মহানগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু।

রংপুর-৪ আসন (কাউনিয়া ও পীরগাছা) এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও পীরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আফসার আলী, কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা এবং পীরগাছা উপজেলা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা।

রংপুর-৫ আসন (মিঠাপুকুর) এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন।

রংপুর-৬ আসন (পীরগঞ্জ) এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও জাতীয়তাবাদী অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আসফাকুল ইসলাম মনু।  

আরও পড়ুন
রংপুর-৬ আসনে (পীরগঞ্জ) মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে অনেক যোগ্য নেতা আছেন। তাই একাধিক ব্যক্তির মনোনয়ন প্রত্যাশা করাটা স্বাভাবিক। দলের পক্ষেই তো সবাই প্রচার চালাচ্ছেন। এতে ক্ষতি নেই। বরং দলের কথা জনগণের কাছে পৌঁছানোয় লাভ হচ্ছে। দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই সবাই নির্বাচনে কাজ করবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। দলের হাইকমান্ড যাকে প্রার্থী করবে, তার পক্ষে সবাই থাকবে।

রংপুর-৩ আসনে (সদর) মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু জানান, প্রচারে একাধিক ব্যক্তি অংশ নেওয়ায় দলে কোনো বিভাজন তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। এখানে অনেক যোগ্য নেতা আছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে আমরা সবাই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপি সুসংগঠিত দল। দলের হাইকমান্ড যাকে প্রার্থী করবেন, সবাই তার পক্ষে আমরা কাজ করব। 

এদিকে, রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম রব্বানী বলেন, সারা দেশের মতো রংপুরের ছয়টি আসনেও দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দলের পক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পক্ষে সাধারণ মানুষ ভোট দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার