নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সারজিস

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৫ এএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যে নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে একদলকে একটি মার্কা থেকে বঞ্চিত করতে পারে ওই কমিশন কখনই স্বাধীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে না। ওই নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা এনসিপি সাংগঠনিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবের কথা শুনে মনে হয়েছে, শাপলা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি কোনো সমস্যা থাকা না থাকা এগুলো তাদের কাছে কোনো বিষয় না। শাপলা দেবে কী দেবে না, এটা তাদের মন মর্জির ওপর নির্ভর করে। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে মন মর্জি মতো চলে স্বেচ্ছাচারিতা করার যে আচরণ, এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। এটা আমরা মেনেও নেব না।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট করি বলি, শুধু নির্বাচন কমিশন না, কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের জায়গা থেকে স্বেচ্ছাচারিতা, বেআইনি এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাই, তারা কি জনগণের মুখাপেক্ষী? নাকি ক্ষমতায় কাল্পনিকভাবে আসতে চাচ্ছে এমন কোনো দলের মুখাপেক্ষী? নাকি কোনো অস্ত্রের ভয়ে ভীত হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মুখাপেক্ষী? এর জবাব তাদের দিতে হবে।
সারজিস আলম বলেন, আইনি বাধা যেহেতু নেই এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে অবশ্যই শাপলা প্রতীক দিবে এবং সেই শাপলা নিয়ে এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই এনসিপির সাংগঠনিক বিস্তৃতি বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়বে এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমান বিচারের পরবর্তীতে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে এনসিপি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে আবির্ভূত হবে।
ময়মনসিংহ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাবেদ রাসিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- পার্টির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।