Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘সেফ এক্সিটের কথা শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম’

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

‘সেফ এক্সিটের কথা শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম’

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার মধ্যে ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘সেফ এক্সিটের কথাতো আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম।’

রিজভী বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) যে অন্যায় করেছেন, নিপীড়ন-নির্যাতন করেছেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করেছেন, গদি টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে অদৃশ্য করছেন, বিচারবহির্ভুত হত্যা, ক্রসফায়ার দিচ্ছেন। এই নীলফামারীতে একজন মন্ত্রীর নির্দেশে ৪-৫ জন ছেলেকে বিচারবহির্ভুত হত্যা করা হয়েছিল। তারা গণতন্ত্র ফেরার আন্দোলন করেছিল বলে তাদের লাশ পাওয়া গেছে রাস্তার ধারে, খালের ধারে। এজন্য আমরা ওই সময় বলেছিলাম, এত যে অত্যাচার করছেন, আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সেফ এক্সিট চিন্তা করে রেখেছেন? এখনো সময় থাকতে আপনার সেফ এক্সিট নেন।’

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের পাগলাটারী গ্রামে ‘বুক দিয়ে ঘানি টানা দম্পতিকে’ ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অন্তরের সততার আলোতে জ্বলেছেন। তার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা, অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এ দেশের আলো, বাতাস, পানির মধ্যেই থাকতে চেয়েছেন। তার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি। আজকে কেন এই সেফ এক্সিটের কথা বলেন। তাহলে কোথায় কী হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে বড়বড় প্রজেক্ট দেখিয়ে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এখনতো টাকা পাচারের কথা তেমন একটা শুনছি না। কিন্তু একজন সাবেক উপদেষ্টা (নাহিদ ইসলাম) সরকারকে বিব্রত করতে কী কারণে সেফ এক্সিটের কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। যদি আপনার (নাহিদ ইসলাম) কোনো কথা থাকে, তাহলে মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে বলে দিন।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজকে যিনি একথা বলছেন তিনিও এই সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। ওনাকে তো চিন্তা করে বলতে হবে কার সেফ এক্সিটের কথা বলছেন। যদি কোনো ব্যক্তি অন্যায় করে থাকে, সে যদি দুর্নীতি নয় মহাদুর্নীতি করে থাকে, টাকা পাচার করে থাকে, অপরাধ করে থাকে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তার সেফ এক্সিটের দরকার। আপনি (নাহিদ ইসলাম) বলেন কারা কারা এই ধরনের অন্যায় অপরাধ করেছেন। তাদের তালিকা দিন। তাদের কথা বলুন। তখন তারাও চিন্তা করবে। জাতিও চিন্তা করবে। ড. ইউনূসের সরকারকে আমরা সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন করেছি। তিনি একজন গুণী ব্যক্তি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তার নেতৃত্বাধীন সরকার ভালো কাজ করবে। এটা আমাদের সবারই কাম্য। আমরা এ সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। এই সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। এটা নিয়ে কমিশন ও রাজনৈতিক দল মতামত দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত কাজ চলছে। 

এ সময় তিনি বিএনপির ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমানের ভিশন ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোখছেদুল মোমিন মিথুন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম স্বপ্না, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহেদুল ইসলাম রনি, সৈয়দপুর (সাংগঠনিক) জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লা-আল মামুন, সেক্রেটারি একেএম তাজুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ওই দম্পতিকে ব্যাটারিচালিত ২টি অটোভ্যান ও গরু ক্রয়ের জন্য ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ নাঈম বাবু ও সৈয়দপুরের সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারকে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার