প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে যেসব বিষয় বিবেচনা করবেন তারেক রহমান

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এবং নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছেন। ওই সময়কে টার্গেট করে বিএনপির নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে সম্ভাব্য একক প্রার্থীর তালিকা দলটির হাইকমান্ডের কাছে রয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ে যোগ্যতার মানদণ্ড বেধে দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যিনি এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন আছেন, যার সঙ্গে ওই এলাকার মানুষের সম্পৃক্ততা আছে, ওঠাবসা আছে- তাদেরকেই আমরা নমিনেশন দেবো।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোল।
জামায়াতে ইসলামী কিছু দলকে নিয়ে বিএনপিবিরোধী একটি জোট করার ইঙ্গিত দিচ্ছে- এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, দেখুন, কোনো দল বা সমষ্টিগতভাবে কোনো দল যদি এমন কিছু করে- তা বাংলাদেশের যে আইনে আছে, বৈধ আইনে আছে। বাংলাদেশের যে সংবিধান এখনো যেটি আছে এই সবকিছুর ভেতরে থেকে অর্থাৎ মানুষের সমর্থন-গ্রহণযোগ্যতা সবকিছুর ভেতরে থেকে যারা রাজনীতি করবে তারা করতেই পারে। এতে তো কোনো সমস্যা বা উদ্বেগের কোনো কারণ আমি দেখি না।
জামায়াতের জোট কী কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইলেকশন হলে তো ইলেকশনে প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। এতে উদ্বেগের কি আছে? বিএনপি তো আগেও নির্বাচন করেছে। বিভিন্ন সময় বিএনপি নির্বাচন করেছে। কম্পিটিশন করেই বিএনপি নির্বাচন করেছে। প্রতিযোগিতা করেছে। উদ্বেগের কিছু নেই।
দলীয় মনোনয়নের প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, আমাদের নমিনেশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত সবসময় কমবেশি যা ছিল বা ভবিষ্যতে আমরা যেটিকে মূল্যায়ন করব- সেটি হচ্ছে অবশ্যই কোনো একটি পার্টিকুলার এলাকা থেকে আমরা আমাদের দলের এমন একজন ব্যক্তিকেই নমিনেশন দিতে চাইব, যিনি ওই এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন, যার সঙ্গে ওই এলাকার মানুষের সম্পৃক্ততা আছে, ওঠাবসা আছে, যিনি ওই এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, তরুণ, নারী, মুরুব্বিসহ ছাত্র-ছাত্রী সবার সঙ্গে যার একটা কমিউনিকেশন আছে। এই ধরনের মানুষকেই আমরা প্রায়োরিটি দেবো- এটা খুবই স্বাভাবিক। অর্থাৎ যার প্রতি জনসমর্থন আছে। যে জনসমর্থনকে তার সাথে রাখতে পারে। জনগণের যার প্রতি সমর্থন আছে- সেরকম মানুষকে দেখেই আমরা নমিনেশন দেবো।