রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ফজলুর, যে কারণে ছাড়েননি?

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেও পদ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে প্রবীণ এই রাজনীতিকের।
তিনি জানিয়েছেন, একসময় রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত একটি কারণেই তিনি রাজনীতি ছাড়েননি।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ফজলুর রহমান বলেন, আমি রাজনীতিই ছেড়ে দিতাম। আমার শুধু একটা দোষ আছে—আমি আওয়ামী লীগ ছেড়ে এসেছি। মানুষ বলে, এক স্বামীর ঘর করতে পারি নাই, আরেক স্বামীর ঘরও করতে পারতেছি না। না হলে বিএনপি আমার সঙ্গে যে অবিচার করেছে, আমাকে তারা বলেনি যে, আমি কী অপরাধ করেছি। আমি মানুষ, ১০০ কথা বললে আমার দু’টা কথা ভুল হতে পারে। যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমাকে জানানো হোক, আমি ক্ষমা চাইব।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ধীরে ধীরে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি এক সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বনীবনা না হওয়া তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর থেকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে আছেন।