এবি পার্টি ছাড়লেন সোলায়মান চৌধুরী, ফিরছেন জামায়াতে

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ এএম

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, আবার জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিচ্ছেন।
এবি পার্টির সব ধরণের পদ ও কার্যক্রম থেকে সরে আসার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে ও সাত দফা কর্মসূচি সামনে রেখে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে ২০২০ সালের ২ মে। সে সময় দেশের প্রায় ৫৩টি জেলায় ও ৩০০টি উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়। দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি এবং দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যে শর্ত থাকে তা পূরণ করতে সবই করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সরকারের নানা চাপে নতজানু নির্বাচন কমিশন এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেয়নি। নিবন্ধন না দিলেও আমাদের কার্যক্রম থেমে থাকেনি।
জুলুমবাজ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, লুটপাট, মানুষের অধিকার হরণে জড়িত আওয়ামী লীগ সরকারের চাপের কারণে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী পটপরিবর্তনের পর আমরা নিবন্ধন পাই। নির্বাচন কমিশন আমার নামে নিবন্ধন সার্টিফিকেট ও প্রতীক বরাদ্দ করে। এরপর দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একটি নতুন কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।
তিনি বলেন, সেই কমিটি দেশব্যাপী সংগঠনকে বিস্তার করা, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো, সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিটি করা, জনসাধারণকে এই দলে সম্পৃক্ত করা, মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানুষের অধিকার কোথায় খর্ব, হরণ হচ্ছে তা মানুষের কাছ থেকে জানা এবং মানুষের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছিলাম তার আর কিছুই হচ্ছে না
সোলায়মান বলেন, এবি পার্টি একটি ঢাকা-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও দলের জনসম্পৃক্ততা নেই, বরং দিন দিন এবি পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতারা পদত্যাগ করে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, এবি পার্টি মানুষের সেবা করবে, মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, সমস্যার সমাধান করবে—সেখান থেকে এবি পার্টি অনেক দূরে সরে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে নামকা-ওয়াস্তে দলের উপদেষ্টা রাখা হয়েছে। বাস্তবে উপদেশ চাইলে উপদেশ দেওয়া যায়, না চাইলে তো আর উপদেশ দেওয়া যায় না। অতএব আমি মনস্থির করেছি, এই পার্টি যে অঙ্গীকার করে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আমার মাধ্যমে, তার ছিটেফোঁটাও এখন দলের মধ্যে নেই। এখন তারা অন্য কাজে ব্যস্ত। এমন দলে থাকার চাইতে না থাকাই শ্রেয় বলে মনে করে এবি পার্টির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এ মর্মে এবি পার্টির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নতুন কোনো দলে নয়, আমার পুরাতন রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীতে আমি ফিরে যাব। এরই মধ্যে আমার সঙ্গে জামায়াত-এ ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান-এর প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি প্রাথমিকভাবে স্বাগতম জানিয়েছেন। আমি ওনার সামনে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ঘোষণা দিয়েছি, আমি আবার জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করব। এখন কেবল লিখিত আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে।
তিনি আরও বলেন, জামাতে ইসলামের মাধ্যমে আমরা যাতে সম্মিলিতভাবে এই দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও এ দেশকে সুন্দর দেশে পরিণত করতে পারি।
এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেই তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বসুন্ধরার বাসায় যান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি আমার রাজনৈতিক বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আমি সাড়া দিয়েছি। এখন ওনারা বিবেচনা করবেন আমাকে জামায়াতে ইসলামীতে নেবেন কিনা।
তিনি বলেন, নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। আমি সাক্ষাতে যাবার আগেই এবি পার্টি ত্যাগ করেছি। প্রসঙ্গক্রমে তাকে জানাই যে, আমি এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। তখন তিনি আমাকে জামায়াতে ইসলামীতে ফিরে আসার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের কথা বলেন।
তবে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে কীভাবে ফিরছেন বা জামায়াতে ইসলামী তাকে গ্রহণ করছে কিনা? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকা পোস্টকে বলেন, তার পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বা জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করছেন তা নিশ্চিত নই। খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
এখানে উল্লেখ্য যে, স্কুল জীবনেই নবম শ্রেণিতে থাকতে ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসে তিনি জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতের রোকন হোন। ঐ বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন।
বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ফেনীতে জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন। পরে সংস্থাপনসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।
২০০৭ সালে সরকারি চাকরি হতে অবসর নিয়ে পুনরায় জামায়াতে যোগদান করেন তিনি। সোলায়মান চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য এবং দলের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ সালে জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। যেটি পরে আমার বাংলাদেশ পার্টি সংক্ষেপে এবি পার্টি হিসেবে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ তিনি এবি পার্টি ছেড়ে আবারও জামায়াতে ইসলামীতে ফেরার ঘোষণা দিলেন।
এবি পার্টির সব ধরণের পদ ও কার্যক্রম থেকে সরে আসার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে ও সাত দফা কর্মসূচি সামনে রেখে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে ২০২০ সালের ২ মে। সে সময় দেশের প্রায় ৫৩টি জেলায় ও ৩০০টি উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়। দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি এবং দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যে শর্ত থাকে তা পূরণ করতে সবই করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সরকারের নানা চাপে নতজানু নির্বাচন কমিশন এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেয়নি। নিবন্ধন না দিলেও আমাদের কার্যক্রম থেমে থাকেনি।
জুলুমবাজ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, লুটপাট, মানুষের অধিকার হরণে জড়িত আওয়ামী লীগ সরকারের চাপের কারণে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী পটপরিবর্তনের পর আমরা নিবন্ধন পাই। নির্বাচন কমিশন আমার নামে নিবন্ধন সার্টিফিকেট ও প্রতীক বরাদ্দ করে। এরপর দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একটি নতুন কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।
তিনি বলেন, সেই কমিটি দেশব্যাপী সংগঠনকে বিস্তার করা, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো, সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিটি করা, জনসাধারণকে এই দলে সম্পৃক্ত করা, মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানুষের অধিকার কোথায় খর্ব, হরণ হচ্ছে তা মানুষের কাছ থেকে জানা এবং মানুষের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছিলাম তার আর কিছুই হচ্ছে না
সোলায়মান বলেন, এবি পার্টি একটি ঢাকা-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও দলের জনসম্পৃক্ততা নেই, বরং দিন দিন এবি পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতারা পদত্যাগ করে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, এবি পার্টি মানুষের সেবা করবে, মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, সমস্যার সমাধান করবে—সেখান থেকে এবি পার্টি অনেক দূরে সরে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে নামকা-ওয়াস্তে দলের উপদেষ্টা রাখা হয়েছে। বাস্তবে উপদেশ চাইলে উপদেশ দেওয়া যায়, না চাইলে তো আর উপদেশ দেওয়া যায় না। অতএব আমি মনস্থির করেছি, এই পার্টি যে অঙ্গীকার করে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আমার মাধ্যমে, তার ছিটেফোঁটাও এখন দলের মধ্যে নেই। এখন তারা অন্য কাজে ব্যস্ত। এমন দলে থাকার চাইতে না থাকাই শ্রেয় বলে মনে করে এবি পার্টির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এ মর্মে এবি পার্টির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নতুন কোনো দলে নয়, আমার পুরাতন রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীতে আমি ফিরে যাব। এরই মধ্যে আমার সঙ্গে জামায়াত-এ ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান-এর প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি প্রাথমিকভাবে স্বাগতম জানিয়েছেন। আমি ওনার সামনে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ঘোষণা দিয়েছি, আমি আবার জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করব। এখন কেবল লিখিত আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে।
তিনি আরও বলেন, জামাতে ইসলামের মাধ্যমে আমরা যাতে সম্মিলিতভাবে এই দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও এ দেশকে সুন্দর দেশে পরিণত করতে পারি।
এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেই তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বসুন্ধরার বাসায় যান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি আমার রাজনৈতিক বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আমি সাড়া দিয়েছি। এখন ওনারা বিবেচনা করবেন আমাকে জামায়াতে ইসলামীতে নেবেন কিনা।
তিনি বলেন, নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। আমি সাক্ষাতে যাবার আগেই এবি পার্টি ত্যাগ করেছি। প্রসঙ্গক্রমে তাকে জানাই যে, আমি এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। তখন তিনি আমাকে জামায়াতে ইসলামীতে ফিরে আসার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের কথা বলেন।
তবে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে কীভাবে ফিরছেন বা জামায়াতে ইসলামী তাকে গ্রহণ করছে কিনা? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকা পোস্টকে বলেন, তার পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বা জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করছেন তা নিশ্চিত নই। খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
এখানে উল্লেখ্য যে, স্কুল জীবনেই নবম শ্রেণিতে থাকতে ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসে তিনি জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতের রোকন হোন। ঐ বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন।
বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ফেনীতে জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন। পরে সংস্থাপনসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।
২০০৭ সালে সরকারি চাকরি হতে অবসর নিয়ে পুনরায় জামায়াতে যোগদান করেন তিনি। সোলায়মান চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য এবং দলের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ সালে জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। যেটি পরে আমার বাংলাদেশ পার্টি সংক্ষেপে এবি পার্টি হিসেবে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ তিনি এবি পার্টি ছেড়ে আবারও জামায়াতে ইসলামীতে ফেরার ঘোষণা দিলেন।