‘এগিয়ে থাকা ৩০ আসনের একটাও এনসিপিকে দেবে না জামায়াত’
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
মঝোতা জোট হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ৮ দল ও এনসিপি। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে দুই দল। বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম। রবিবার নিজের ওয়ালে এই ভবিষ্যদ্বানী করেন তিনি।
'ইম্পসিবল জোট' শিরোনামে আব্দুস সালাম লিখেন, জোট তৈরি হয় নির্বাচন পার করার জন্য। এই জোট কি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হবে? যেই মানুষটার এনসিপিতে ভোট দেওয়ার কথা- সে যদি ব্যালট পেপারে শাপলা না দেখে- আপনার কি মনে হয় সে জামাত বা জোটের অন্য একটা ইসলামী দলকে ভোট দিবে?
আমার ধারণা এই লোকটা ভোট দেবে হয় বিএনপিকে (যদি প্রার্থী তরুণ হয়) অথবা স্বতন্ত্র কোনো তরুণ এন্টি-এস্ট্যাব্লিশমেন্ট ক্যান্ডিডেটকে। আইদার ওয়ে— যেই ২৪০ সিটে শাপলা থাকবে না, সেখানে শাপলা না থাকার মূল সুবিধাটা পাবে বিএনপি। হয় ভোট পেয়ে না হয় ভোট কেটে। যদিও এই সুবিধার মাত্রা হবে নগন্য। আমি মোটামুটি নিশ্চিত যেই ৩০টার মতো সিটে জামায়াত এগিয়ে আছে, তার একটাও জামায়াত এনসিপিকে দেবে না। জামায়াতের এটা একটা বড় সুবিধা। সে অনায়াসে ২২০ সিট তার মিত্রদের দিয়ে দিলে নির্বাচনের ফল এক চুল পরিবর্তন হবে না।
কিন্তু যেই ৬০টা সিটে জামায়াত কন্টেস্ট করবে না- সেই সব সিটের জামায়াতের বান্ধা ভোটাররা কি শাপলায় ভোট দেবে? কিছু দেবে কিন্তু অধিকাংশই দেবে না বলে আমার অনুমান।
এটাই হলো জামায়াত-এনসিপি জোটের সমস্যা। এই জোটকে সফল হতে হলে উভয় দলের নেতা, কর্মী ও ভোটারদের এক্সট্রিম লেভেলের এন্টি-বিএনপি হতে হবে। তা না হলে কোনো পারপাসই সার্ভ করবে না। বিএনপি ও জামায়াত জোট এলেক্টরাল পলিটিক্সে সফল ছিল, কারণ উভয় দলের ভোটাররাই এক্সট্রিম লেভেলের এন্টি আওয়ামী লীগ ছিল। যেই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ নাই হয়ে গেছে; সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত আলাদা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের ভোটাররা একে অপরের প্রতি সেই লেভেলের শত্রুতা পোষণ করে না (রাজনৈতিক কর্মীরা করে)। এনসিপির ভোটারদের কথা জানি না।
তবে এনসিপি ন্যারেটিভ তৈরিতে বিশাল ক্ষমতা রাখে। সে কারণে এনসিপি ক্রমশই ছাত্র ইউনিয়ন কিংবা সিপিবির মতো বয়ান তৈরিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠবে’।