জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেয়ার কারণ জানালেন নাহিদ ইসলাম
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
বৃহত্তর ঐক্যের জায়গা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি আমরা আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চাই। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা চলছিল। আমরা সারাদেশ থেকে মনোনয়নও আহ্বান করেছিলাম। পরবর্তীতে সংস্কার প্রশ্নে আরও দু’টি দলের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম- এই ৩ দল মিলে যে সংস্কার জোট, আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। কিন্তু ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির শাহাদাত বরণ ও তাকে প্রকাশ্যে গুলির মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে।
এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদী আগ্রাসনি শক্তি এখনও কার্যকর রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম তারা এখনও নির্বাচন বানচালের জন্য চক্রান্ত করছে। তারা চক্রান্ত করছে সংস্কার ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য। সেই সঙ্গে তারা জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেয়ার চক্রান্ত করছে। সেদিন ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কাল আপনার গায়ে লাগবে, পরশু আমার গায়ে লাগবে। কারণ, প্রথম এবং প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে- সারাদেশের তরুণ নাগরিকরা, শহিদ পরিবার, যারা আহত যোদ্ধা রয়েছে তারা।
এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এনসিপির দলীয় ফোরামে আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রা ঠেকাতে না পারে, সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই আমরা জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছি এবং তাদের যে সমমনা ৮ দল রয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের নির্বাচনি সমঝোতায় সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ ও জুলাই প্রজন্মকে রক্ষায় আমরা বৃহত্তর ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি।