আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

শুক্রবার (২৬) সন্ধ্যায় কালিহাতী নিজ বাসভবনে আয়োজিত স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভায় তিনি ওই ঘোষণা দেন।

মতবিনিময় সভায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেবো কি নেবো না এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আমি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলাম। আমি সব সময় জনগণের মতামত ও জনরায়কে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করেছি এবং এখনও করছি। আমার কর্মী-সমর্থক এবং এলাকার সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে নির্বাচনী এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বুজুর্গ পীর শাহ একিনের মাজার, বাবা-মায়ের কবরস্থান জিয়ারতের মাধ্যমে তাদের কাছে দোয়া ও অনুকম্পা চেয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনে যতবার অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে ততবার আমি জনগণের রায় পেয়েছি।’

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এলাকার মানুষ আমাকে পছন্দের লোক হিসেবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমার প্রতি এ এলাকার মানুষের চাওয়া আছে, একইসঙ্গে আমার প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আস্থাও আছে। আশাকরি এবারের নির্বাচনেও নির্বাচনী এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’

মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে আগাম ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রম চালাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অনানুষ্ঠানিক ওই মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

প্রবীণ এই রাজনীতিবীদ হজ নিয়ে কটুক্তি করায় দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আন্দোলন গড়ে তুলেন। জনগণের তোপের মুখে আওয়ামী লীগ দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি কারাবন্দি থাকায় এ আসনে তার সহধর্মিনী বেগম লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে প্রথম মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।