জেলার ৬টির মধ্যে ৪টি আসনেই প্রার্থী পরিবর্তন করলো বিএনপি
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রাথমিকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীকে বদলিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এর মধ্যে একটি আসনে জোটের শরিককে ছেড়ে দিয়েছে দলটি।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রথমে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। পরে বদল করে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে দেওয়া হয়। যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর উপজেলা ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন অভয়নগর উপজেলা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পান উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। পরে জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ।
শুধু যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) ও যশোর-৩ (সদর) আসনে প্রাথমিক প্রার্থীই নিশ্চিত। প্রার্থী পরিবর্তনের কারণে কিছু সমর্থকের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। যশোর-১ আসনে বাদ পড়া মফিকুল হাসান তৃপ্তি এক মাসের বেশি সময় ধরে মাঠে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
যশোর-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব মূল প্রার্থী, মতিয়ার রহমান ফারাজীকে ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে রাখা হয়েছে। দলের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাংক সংক্রান্ত কিছু জটিলতা কাটিয়ে শিগগিরই আইয়ূবকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
যশোর-৬ আসনে আবুল হোসেন আজাদ চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ দেড়মাস ধরে এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করা প্রার্থীরা মন খারাপ হতে পারে, তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করার কাজ চলবে।