নব্য বিএনপিদের গ্রহণ করতে কতটা প্রস্তুত তৃণমূলের ত্যাগীরা?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
নতুন আরপিওর বিধান ও ধানের শীষ প্রতীকের সীমাবদ্ধতায় বিএনপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দল ও জোটের শীর্ষ নেতারা। তবে শীর্ষ নেতৃত্ব যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের মাঠে কর্মী ও তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তৃণমূলের কর্মী-সদস্যরা কতটা প্রস্তুত নতুন নেতা ও দলকে মেনে নিতে, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপিতে যোগদানকারী নেতারা যেমন গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, জাতীয় দল, সমমনা জোটের শীর্ষ স্তরের নেতা; তাদের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। কিন্তু এই নেতা-কর্মীদের আগে দলগুলোর তৃণমূলে অনেকেই এখনো দ্বিধাগ্রস্ত। তারা শীর্ষ নেতাদের পদক্ষেপকে স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখলেও দলীয় প্রথা ও স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের কারণে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা সহজে তৈরি হচ্ছে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের ত্যাগীরা নতুন নেতৃত্বের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলে নির্বাচনে শক্তিশালী ভোটবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে। তবে একাধিক পর্যায়ের দ্বন্দ্ব এবং পূর্ববর্তী দলের অভিজ্ঞতা থেকে ত্যাগীরা পুরোপুরি মিশতে সময় লাগবে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন স্থানীয় রাজনীতিতে দায়িত্বে ছিল, তারা নতুন নীতিমালা, দলের শৃঙ্খলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা মানতে প্রস্তুত কিনা, সেটিই চূড়ান্ত প্রভাব ফেলবে।
বৈঠক ও সমন্বয় সভায় দেখা গেছে, তৃণমূলের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই নব্য বিএনপির সঙ্গে একতাবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। অন্যদিকে কিছু গ্রাম ও উপজেলা পর্যায়ের ত্যাগীরা এখনও সন্দিহান। তারা শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যক্তিগত যোগদানের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব স্বার্থ ও দপ্তরভিত্তিক দাবিও বিবেচনায় রাখছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, শীর্ষ নেতাদের যোগদানের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের সক্রিয় অংশের সমর্থন যত দ্রুত নিশ্চিত করা যায়, তত দ্রুত ধানের শীষ প্রতীকের অধীনে নির্বাচনে শক্তিশালী ফলাফল নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের ত্যাগীরা যদি একতাবদ্ধ না হন, তাহলে নতুন নেতাদের কর্মকাণ্ড মাঠ পর্যায়ে সফল হতে সময় লাগবে এবং কিছু এলাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
ফলে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষ নেতাদের আনুষ্ঠানিক যোগদান হলেও তৃণমূলের ত্যাগীদের সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা ও একতাবদ্ধ অংশগ্রহণ ছাড়া নতুন নেতারা তাদের প্রার্থিতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। নির্বাচনের মাঠে ফলাফলকে প্রভাবিত করবে এই সামাজিক ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা।