এক ফেসবুক পোস্টে ২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা পেলেন তাসনিম জারা
জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মাত্র ২৯ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ হওয়ায় তিনি নতুন করে আর কোনো অনুদান গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান ডা. তাসনিম জারা। তিনি লেখেন, “আমাদের ফান্ড রেইজিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা আপনারা অভাবনীয়ভাবে পূরণ করে দিয়েছেন। এই সাড়া প্রমাণ করে দিয়েছে যে পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে।” এ জন্য তিনি সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে প্রকৃত রাজনৈতিক লড়াই। যেখানে অনেক প্রার্থী ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবেন। তবে টাকা দিয়ে ভোট কেনার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহণই এই প্রচারণার সবচেয়ে বড় শক্তি।
নিজের প্রচারণার সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন ডা. তাসনিম জারা। তিনি জানান, ঢাকা-৯ আসনে প্রায় ৫ লাখ ভোটার রয়েছে। একজন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১১০টি পরিবারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব, পুরো নির্বাচনী সময়ে যা চার হাজার পরিবারের বেশি নয়। ফলে বিপুল সংখ্যক ভোটারের কাছে পৌঁছাতে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, টাকার রাজনীতির বিপরীতে দাঁড়ানো এই আন্দোলনে কোনো পেইড কর্মী নেওয়া হবে না। বরং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি। ঢাকা-৯ আসনের বাইরের সমর্থকদেরও আহ্বান জানিয়ে বলেন, আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতদের মাধ্যমে একটি ফোন কল বা ব্যক্তিগত কথোপকথন অনেক সময় পোস্টার ও ব্যানারের চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে।
এ সময় তিনি দুইটি নির্দিষ্ট আহ্বান জানান— প্রথমত, সপ্তাহে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়া। দ্বিতীয়ত, ভোটের দিন পোলিং এজেন্ট বা ভোটার সহায়তাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।
ফান্ড ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতার বিষয়টিও তুলে ধরেন ডা. তাসনিম জারা। তিনি জানান, কোনো নগদ অনুদান গ্রহণ করা হয়নি। সব অর্থ একটি নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বর ও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারির আওতায় রয়েছে। অনুদানের উৎস, ব্যয়ের খাত এবং হিসাব সংক্রান্ত সব তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জারা বলেন, আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব, জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোটি কোটি কালো টাকার কোনো মূল্য নেই।